রানা দাস, কাটোয়া: পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় রণক্ষেত্র কাটোয়া (Katwa Student Death)। পরিবারের অভিযোগ, স্কুলে সাপে কামড়ালেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বিকেলে মৃত্যু হয়। স্কুলের গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ অভিভাবকদের। 


ছাত্রের মৃত্যুতে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি: পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগ ঘিরে কাটোয়ার কোশিগ্রামে স্কুলে ধুন্ধুমার। প্রধান শিক্ষকের হেনস্থার অভিযোগ উঠল গ্রামবাসী ও অভিভাবকদের বিরুদ্ধে। কোশিগ্রাম ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র ইন্দ্রজিৎ মাঝি। অভিযোগ, মঙ্গলবার স্কুল চলাকালীন মাঠের মধ্যে তাকে সাপে কামড়ায় প্রধান শিক্ষক গুরুত্ব না দিয়ে অ্যান্টিসেপটিক লোশন লাগিয়ে ছেড়ে দেন। বিকেলে টিউশন পড়তে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে ১২ বছরের বালক। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। প্রধান শিক্ষকের দাবি, ছাত্রের কিছু হয়েছে বলে তিনি বিষয়টি জানতেন না। এই নিয়ে আজ স্কুলে তুলকালাম বাধে। প্রধান শিক্ষককে আটক করেছে কাটোয়া থানার পুলিশ। 


গতকাল মহালয়ার সকালে মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। বাঁশদ্রোণীতে পে লোডারের ধাক্কায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে নবম শ্রেণির ছাত্রের। স্থানীয়রা ২টি পে লোডারে ভাঙচুর চালায়। কলকাতা পুরসভার ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। শুধু তাই নয়, পাটুলি থানার OC-কে ঘেরাও করে প্রশ্ন তোলে ক্ষুব্ধ জনতা। OC-কে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে স্পেশাল ফোর্স। কলার ধরে আটকায় উত্তেজিত জনতা। স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় রাস্তা বেশ কয়েকবছর ধরে বেহাল। এবার পুজোর মুখে রাস্তা সারাইয়ের কাজ চলছিল। গতকাল টিউশন পড়তে যাওয়ার সময়, সরু রাস্তায় ওই ছাত্রকে পিষে দেয় পে লোডার। কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে উঠল ‘হায়, হায়’ স্লোগান। এই ঘটনায় গতকাল তৃণমূল কাউন্সিলর জানান, নিকাশির কাজ হওয়ায় রাস্তা সারানো হচ্ছিল। যদিও ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি পে লোডারের চালককে।                               


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Bashdroni Student Death: ঘরে ছড়ানো বই-খাতা, বাঁশদ্রোণীতে পড়ুয়ার মৃত্যুতে শোকে বিহ্বল পরিবার