ঝিলম করঞ্জাই, ঘাটাল : সাগরদিঘি উপনির্বাচনে (Sagardighi By Election) জয়ের পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস সবাইকে কিনতে পারবে, আমাকে পারবে না।' পাশাপাশি বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসের (Bayron Biswas) বক্তব্য ছিল, 'তৃণমূলের বিরুদ্ধে একত্রিত লড়াই-ই একমাত্র পথ, সাগরদিঘি যার মডেল'। যাঁকে সামনে রেখে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ভাবনায় এগিয়েছিল বাং-কংগ্রেস জোট, সেই ভাবনাকে জোরাল ধাক্কা দিয়ে ভোটে জেতার তিন মাসের মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন বায়রন বিশ্বাস। আর যোগদানের পর এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে তাঁর দাবি, 'আমাকে কেউ কিনে আনেনি। আমি রাজনৈতিক ঘরের ছেলে নই, রাজনীতি সেভাবে বুঝতাম না। যখন রাজনীতি বুঝছি, বুঝতে পারছি শাসক দল ছাড়া কাজ করা সম্ভব নয়। মানুষের উন্নয়ন করা সম্ভব নয়।'


বায়রনের দলবদল নিয়ে তাঁকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বক্তব্য 'জনগণের রায়কে ব্যক্তিস্বার্থ পদাঘাত করেছেন।' পাশাপাশি বাম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য-র বক্তব্য, 'হাটে-বাজারে মেরুদণ্ডহীন এক প্রাণী বিক্রি হয়ে গিয়েছে।' যদিও বিশ্বাসঘাতকতা করা তো দূরে থাক, কংগ্রেসের বদলে ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মায় তিনি সাগরদিঘিতে জিতেছেন বলেই দাবি করেছেন বায়রন। পাশাপাশি তাঁর দাবি, প্রয়োজনে ফের ভোটে লড়ে প্রমাণ করে দেবেন তাঁর জায়গা। বায়রনের বক্তব্য, 'অভিষেক দার বক্তব্য মতো যদি দলবিরোধী নিয়ম প্রযোজ্য হয়, তাহলে অবশ্যই পদত্যাগ করব। ও ফের জিতে দেখিয়ে দেব।'


তৃণমূলে যোগ দিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বায়রন। ‘কংগ্রেসে কাজ করতে পারছিলাম না, আমি বরাবরই তৃণমূলে ছিলাম’ দলবদলের পর মন্তব্য বায়রন বিশ্বাসের । বায়রনের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, অধীর চৌধুরী তাঁকে পরোক্ষে অসৎ বলেছেন, এ বিষয়ে তাঁর কী মত ? বায়রনের জবাব, জবাব তো মানুষ দেবে। তাঁকে যদি আবারও ভোটে জিতে আসতে হয়, তাহলে তিনি তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়ালে আরও বিপুল ভোটে জিতবেন।  


আরও পড়ুন- 'মেরুদণ্ডদহীন এক প্রাণী বিক্রি হয়ে গেল' বায়রনকে তীব্র আক্রমণ বিকাশরঞ্জনের


বায়রন যোগের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘জেতার পরই বায়রন বলেছিলেন তৃণমূলে আসবেন। জেতার পর আমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেছেন বায়রন’, দাবি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের । এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বায়রন বিশ্বাসকে তৃণমূলে স্বাগত। আশা করি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন বায়রন। কংগ্রেস-সিপিএম জোটে কাদের সুবিধা হয়েছে মানুষ দেখেছে। কংগ্রেস-সিপিএম জোটে বিজেপির লাভ হয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করে বিজেপির হাত শক্তশালী করছে। বাংলায় তৃণমূলকে ভাঙতে চেয়েছে কংগ্রেস, তাতে কার হাত শক্ত হবে? রামধনু জোটের নির্যাস শূন্য। আমরা ভাঙার খেলায় বিশ্বাস করি না, গড়ার খেলায় বিশ্বাস করি’। বাইরনের দলবদলের পর মন্তব্য অভিষেকের। 


আরও পড়ুন: বাড়িতে সহজ পদ্ধতিতে তৈরি করুন আমন্ড মিল্ক