কলকাতা: বিডিও অফিসগুলো এখন দুর্নীতির আখড়া। পঞ্চায়েত ভোট ওখান থেকেই পরিচালনা হচ্ছে। বাধ্য হয়ে বা ভাল সাজার জন্য বিডিও-রা অনৈতিকভাবে তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন। ভাঙড়, উলুবেড়িয়ার বিডিওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্তব্য দিলীপ ঘোষের।  


তৃণমূলের ভোট করিয়ে জেতার জোর নেই। তাই নতুন-পুরনো মামলায় বিরোধী প্রার্থীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। বিনা কারণে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে বাড়িতে। পুলিশ ও সরকারি কর্মীদের কাজে লাগিয়ে ভোটে জেতার চেষ্টা করছে। কোচবিহারে বিজেপির জেলা পরিষদ প্রার্থী গ্রেফতার হওয়ায় তৃণমূলকে নিশানা দিলীপ ঘোষের।


অভিষেকের প্রচারে সত্যি জনজোয়ার হলে, মমতাকে প্রচারে নামতে হত না। কিন্তু ওঁর দলের নেতাদের কেউ বিশ্বাস করছে না। তাই উনি গল্প করে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গে নির্বাচনী প্রচার নিয়েও নিয়ে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই জোর কদমে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে নেমেছে বিজেপি। কল্যাণীতে শুভেন্দু অধিকারী, মায়াপুরে দিলীপ ঘোষ, কুলতলিতে সুকান্ত মজুমদার। শনিবার একইসঙ্গে তিন জেলায় তিন নেতার নির্বাচনী সভা। 


অন্যদিকে পঞ্চায়েত ভোটে দিলীপ ঘোষ যে বুথের ভোটার সেখানে প্রার্থীই দিতে পারল না বিজেপি। ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রমের বুথেও প্রার্থী দিতে পারেনি গেরুয়া শিবির। ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের কুলিয়ানা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নম্বর বুথের ভোটার মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তাঁর গ্রাম এমনকি, তাঁর বুথে প্রার্থী খুঁজে পায়নি বিজেপি। রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কন্যাডোবার বুথে ভোট দেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম। তাঁর বুুথেও এবার কোনও প্রার্থী নেই বিজেপির। এর জন্য দলের সাংগঠনিক ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ। আমাকে কিছু জানানো হয়নি। আগে জানলে স্ত্রীকে প্রার্থী করতাম, প্রতিক্রিয়া বিজেপি সাংসদের। দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। বিজেপির সঙ্গে জনগণ নেই, এটাই তার প্রমাণ, কটাক্ষ তৃণমূলের।