পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: একসময়ের মিত্রই কি আজ শত্রু? বেলেঘাটাকাণ্ডে (Beleghata Incident) একটি ভাইরাল ভিডিও ঘিরে মাথাচাড়া দিয়েছে এই প্রশ্ন। 'রাজু নস্কর আমার অভিভাবক', কর্মীসভায় বলতে শোনা গেছে, তৃণমূল কাউন্সিলরকে (TMC Councillor)। বয়সে বড়, তাই অভিভাবক বলেছি। সাফাই দিলেন রাজু গোষ্ঠীর বিরোধী অলকানন্দা দাস (Aloknanda Das)।


বেলেঘাটায় তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের (TMC inner Clash) ঘটনায়, ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রাজু নস্করকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৩০ এপ্রিলের সংঘর্ষের ঘটনার জন্য প্রথম থেকেই যার দিকে আঙুল তুলে আসছেন, এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর অলকানন্দা দাস এবং তাঁর বাবা তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অলোক দাস। কিন্তু, এরই মধ্যে বেলেঘাটাকাণ্ডে নতুন বিতর্ক উস্কে দিল ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও। যেখানে তৃণমূলের কর্মিসভায় প্রকাশ্যে, নিজের বাবার পাশাপাশি রাজু নস্করকেও ব্যাঙ্কার এবং অভিভাবক হিসেবে তুলে ধরেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর। 


কলকাতা পুরসভা ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের  তৃণমূল কাউন্সিলর অলকানন্দা দাস বলেন, ওই আমার দু'টো ব্যাঙ্ক, আমার যারা পার্টি কর্মীরা আছে, তারা জানে, আমার দু'টো ব্যাঙ্ক। একটা অলোক দাস, আরেকটা রাজু নস্কর। আমার অভিভাবকের মধ্যে আরেকজন হচ্ছেন, রাজু নস্কর মহাশয়। আমার বাবা যখন থাকেন না, তখন আমার অভিভাবকের জায়গাটা উনি ডিল করেন, তাঁর নাম রাজু নস্কর মহাশয়। 


আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ? 


কিন্তু, কবে এই বক্তব্য রেখেছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর? রাজু নস্করের অনুগামী তৃণমূল কর্মী বলেন, পুরভোটের প্রচারে কর্মিসভায় এই বক্তব্য রেখেছিলেন অলকানন্দা। ও যেভাবে জিতেছে বা লিড পেয়েছে, রাজু না থাকলে তা সম্ভব হত না। ভাইরাল হওয়া ভিডিওর সত্যতা স্বীকার করেছেন অলকানন্দা। সেই সঙ্গে রাজু নস্করকে অভিভাবক হিসেবে তুলে ধরার কারণ বলতে গিয়ে সাফাইও দিয়েছেন তিনি।


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ? 


প্রসঙ্গত, বেলেঘাটায় (Beleghata) তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে গুলিকাণ্ডের একসপ্তাহ পর ওড়িশা (Odisa) থেকে রাজু নস্কর-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। ৩০ এপ্রিল ওই ঘটনার পর এলাকা থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) নেতা রাজু নস্কর। পুলিশ সূত্রে খবর, শাগরেদদের নিয়ে ওড়িশার গোপালপুরের বিলাসবহুল রিসর্টে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। সেখানে হানা দিয়ে রাজু-সহ ৪ জনকে পাকড়াও করে লালবাজারের গোয়েন্দা শাখার পুলিশ।  ধৃতদের বিরুদ্ধে  খুনের চেষ্টা, হিংসা ছড়ানো, অস্ত্র আইন-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়।