কলকাতা: রাজ্যে বোমার (Bomb Recovery) বাড়বাড়ন্ত নিয়ে তৃণমূলের 'নানা মুনির নানা মত'। এই ইস্যুতে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন,'বোমার মশলা আসছে কোথা থেকে? গান অ্যান্ড শেল ফ্যাক্টরি থেকে বোমা-কার্তুজ বের করছে কে ? কে ষড়যন্ত্র করছে ? গরিব মানুষদের ধরে লাভ হবে না, মূল ষড়যন্ত্রকারীকে ধরতে হবে', মন্তব্য মন্ত্রীর।


বোমা-বিস্ফোরক উদ্ধারের ধারায় যেন কিছুতেই ছেদ পড়ছে না বীরভূমে (Birbhum)। সম্প্রতি মল্লারপুর থানার যবনী গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে অন্তত ২০টি বোমা উদ্ধার করেছিল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মল্লারপুর থানার বড়তুড়িগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে যবনী গ্রামের একটি পরিত্য়ক্ত বাড়ি থেকে বোমাগুলির হদিস মেলে। জানা গিয়েছে বাড়িটি হারুণ সেখের। গত তিন বছর ধরে মহারাষ্ট্রে থাকে হারুনের পরিবার। তাই বাড়িটি খালিই পড়ে ছিল। কিন্তু সেখানে এতগুলি বোমা এল কোথা থেকে? কে বা কারা সেগুলি ওই বাড়িতে রেখেছিল? উদ্দেশ্য কী ছিল তাদের? খতিয়ে দেখার চেষ্টা চলছে। 


রাজ্যে একের পর এক বাজি বিস্ফোরণের মাঝেই নয়া ফর্মুলা সৌগত রায়ের (Sougata Roy)। সম্প্রতি  তৃণমূল সাংসদর সৌগত রায় বলেছিলেন ‘এই তীব্র গরমে বিস্ফোরণ হতেই পারে এ সব ক্ষেত্রেও সম্ভবত তেমনই হচ্ছে। যেমন জঙ্গলে আগুন লেগে যায়’। যে প্রসঙ্গে তাঁর ব্যাখ্যা ‘এই গরমে পটাশিয়াম ক্লোরেট ও আর্সেনিক ট্রাইসালফাইট বাইরে রেখে দিলে এমনিই ফেটে যাবে’। আর এই প্রসঙ্গ টেনেই এরপর নিশানা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।


দিলীপ ঘোষ বলেন, 'উনি আগে খোঁজ নিন ওনার পার্টিটা আছে কিনা। ওনার সরকারের কী অবস্থা। বিধায়করা মন্ত্রীরা সব মুখ খুলছে। এটা ওনার পুরনো অভ্যাস। একটা ঘোট পাকিয়ে দিয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। নেতা মন্ত্রীরা জেলে। নেতাদের ডাকাডাকি চলছে। চাকরি দিতে পারছে না। দুর্নীতিতে ডুবে আছে। এর থেকে নজর ঘোরাতে চারিদিকে বোমা বিস্ফোরণ করা হচ্ছে। এটা আসলে চক্রান্ত। পুলিশ জানে। পার্টির লোকেরা যুক্ত। বোমার আওয়াজ করে ভয় দেখিয়ে সবাইকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে। সৌগত রায় বড় বিজ্ঞানী। তাঁর ৭৫ বছর বয়স। ওনাকে জিজ্ঞাসা করুন, উনি কোনও দিন দেখেছেন, গরমে বোমা ফেটে যায় ?'


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ? 


চলতি সপ্তাহে লাভপুরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কাছেই তাজা বোমা মেলে। সম্প্রতি দরবারপুর গ্রামে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ১০ মিটার দূরে এক ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। প্লাস্টিকের ড্রামে ২৫-৩০টি বোমা ছিল। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পাশেই দুষ্কৃতী গোলাম মোস্তাফার বাড়ি। কয়েকমাস আগে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার ঘটনায় ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়। এই দরবারপুর গ্রামেই ২০১৭ সালে বোমা বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যু হয়।পঞ্চায়েত ভোটের আগে এভাবে মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা উদ্ধার হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তার আগে নলহাটির মধুপুরে পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ২ বস্তা জিলেটিন স্টিক, ৩২০০ টি ডিটোনেটর উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু এত বিস্ফোরক এল কোথা থকে, কে বা কারামজুত রেখেছিল সেগুলি, তদন্তে নলহাটি থানার পুলিশ।