কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গের পুঁজি ও পরিকাঠামো উন্নয়নে ১০ হাজার ৬৯২ কোটি টাকা দিল কেন্দ্র। রাজস্ব আদায়ের পর তার ভাগ হিসেবে কেন্দ্রের থেকে এই অর্থ পেল রাজ্য। এক্স হ্য়ান্ডলে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের পোস্ট রি পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্য়বাদ জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফে এক্স হ্য়ান্ডল পোস্টে জানানো হয়েছে, ২৮টি রাজ্যকে করের ভাগ হিসেবে মোট ১ লক্ষ ৪২ হাজার ১২২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ২৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি পেয়ে তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি পেয়ে তালিকার দু'নম্বরে রয়েছে বিহার। ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি পেয়ে তালিকার তিন নম্বরে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ। তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
এনিয়ে অবশ্য কেন্দ্রকে বিঁধতে ছাড়েনি তৃণমূল। তৃণমূলের সোশাল মিডিয়া সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, "মধ্যপ্রদেশে ২৯টি লোকসভা আসন। পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি লোকসভা আসন। ২৯টি আসন মানে, আমাদের হাফের কাছাকাছি ছোট রাজ্য। সেই মধ্যপ্রদেশের জন্য ১৩ হাজার কোট। আর ৪২ টি আসনবিশিষ্ট পশ্চিমবঙ্গে জন্য ১০ হাজার কোটি। অঙ্কটা করে নিন, গোবলয়ের রাজ্য বা হিন্দিভাষী রাজ্যগুলির জন্য নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টিভঙ্গি কী ! আর পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলির জন্য নরেন্দ্র মোদিদের দৃষ্টিভঙ্গি কী! তাও যে ১০ হাজার কোটি টাকা ছোঁওয়ানো হয়েছে, এটাও শুধুমাত্র ভোটের জন্য। বিজেপির নেতারা হচ্ছেন সেই আত্মীয় যাঁরা শুধুমাত্র ভোটের খাঁসির মাংস খাওয়ার জন্য আসছেন। নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা যত ঘন ঘন বিধানসভা নির্বাচনে আসতেন, আবার লোকসভা নির্বাচন আসছে আবার আসা শুরু হয়েছে। কিন্তু, তার মাঝখানে ফণী, বলুবুল, আমফান- সমস্ত কিছুতে পশ্চিমবঙ্গে যে ড্যামেজ হল, যে টাকা-পয়সা দেওয়ার কথা ছিল তা দিয়েছেন ? ১০০ দিনের কাজ করিয়ে মানুষের টাকা দিয়েছেন ? রাজ্য সরকারকে ফেরত দিতে হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদি ৮ হাজার কোটি টাকার বিমানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, আর ভারতের মানুষের মাথার ওপর ছাদ নেই। এগুলো তো মানুষ দেখতে পাচ্ছেন। মোদিজি ৮ হাজার কোটির প্লেন কিনছেন, আর দিদি সেই ৮ হাজার কোটি দিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করছেন। স্বাভাবিকভাবেই মানুষ বুঝতে পারছেন, বাংলার সঙ্গে বিজেপির কোনও আত্মীক সম্পর্ক নেই। "