কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে প্রায় সাড়ে ১৪ ঘণ্টা ধরে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহাকে ম্য়ারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই (CBI)। সিবিআই বেরিয়ে যাওয়ার পর তাপস সাহার (Tapas Saha) দাবি, কিছুই মেলেনি, নিটফল শূন্য। শনিবার তৃণমূল বিধায়কের পুকুর-পাড়ে তল্লাশি চালায় সিবিআই। বাজেয়াপ্ত করা হয় কিছু কাগজপত্র। সিবিআই তাপস সাহার বাড়িতে ম্য়ারাথন তল্লাশি চালানোর পর, মুখ খুলতে শুরু করেছেন এলাকার অনেক বাসিন্দাই।


বাড়িতে সিবিআই হানার পরেই দলের প্রতি অভিমানী তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা। বিধায়কের আক্ষেপ, দল পাশে দাঁড়ায়নি। কেউ যোগাযোগও করেনি। আগেও তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সম্প্রতি আবারও মুখ খুলেছিলেন তিনি। এনেছিলেন কারও কারও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ। তাপস সাহার এই মন্তব্য নিয়ে সম্প্রতি মুখ খোলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছিলেন, 'সমালোচনা থাকবে, ষড়যন্ত্র থাকবে। এসব উপেক্ষা করতে হবে। অন্য়ায় না করলে, ভয় কী? ' তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার দলের প্রতি অভিমান প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া ফিরহাদ হাকিমের। 


বাড়িতে সিবিআই তদন্তের পর তাপস আঙুল তুলেছেন দলেরই এক নেত্রীর বিরুদ্ধে। বলেছেন, ' বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস এবং তৃণমূলের একটা অংশ তৃণমূলের নদিয়া জেলা পরিষদ সদস্য টিনা ভৌমিক সাহার সঙ্গে মিলে এই চক্রান্ত করছে।' এ অভিযোগকে অবশ্য আমল দিতে চাননি টিনা। তিনি বলেন, 'উনি যে নির্দোষ ওঁকেই তা প্রমাণ করে আসতে হবে। ' তৃণমূলের নদিয়া জেলা পরিষদ সদস্য টিনা ভৌমিক সাহার দাবি, তাপস সাহার নামে কোথাও কোনও অভিযোগ করেননি তিনি। 


মূলত, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বাড়িতে ম্য়ারাথন তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। বিধায়কের বাড়ি, অফিস, এমনকি, তিনি যে কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি, সেই কলেজের ছাদে উঠে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। পরে তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যায় সিবিআই। শুধু চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগই নয়, তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে, রেশনের ডিলারশিপ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগও সামনে এসেছে। 


আরও পড়ুন, নাবালিকার মৃতদেহ কি টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ ? মুখ খুললেন শশী পাঁজা


সিবিআই সাড়ে ১৪ ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পর তাপসের বক্তব্য, ' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত আমার মাথার ওপর রয়েছে। অভিষেকের অফিসে আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পঞ্চায়েত ভোট আসছে। এখানে আমি তৃণমূলকে তৈরি করেছি। আমার কাউকে প্রয়োজন নেই, দলের আমাকে প্রয়োজন। মূলত টিনা ভৌমিক সাহা আর অন্যদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি, সিবিআই হানার পর। '