শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : কোচবিহারের দিনহাটায় আজব কাণ্ড। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম থাকলেও, এবার কোচবিহারের দিনহাটায়, সদ্য প্রকাশিত নির্বাচন কমিশনের তালিকা থেকে একই পরিবারের ৩ জন সদস্যের নাম উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল। যা ঘিরে একদিকে কমিশনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলল তৃণমূল। পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপিও।

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, 'আমি আর SIR-এর কাজ করতে পারছি না', গুজরাতে BLO-র মৃত্যুতে সুর চড়াল তৃণমূল

Continues below advertisement

বাড়িতে এনুমারেশন ফর্ম না আসা থেকেই সন্দেহ দানা বেঁধেছিল..বুথ লেভেল অফিসারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর,পরিষ্কার হল গোটা বিষয়টা। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম থাকলেও,এবার কোচবিহারের দিনহাটায়, সদ্য প্রকাশিত কমিশনের তালিকা নিয়ে গরমিলের অভিযোগ উঠল। কমিশনের তালিকা থেকে একই পরিবারের ৩ জনের নাম উধাও! দিনহাটা পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা  ধনেশ্বর বর্মন,   আমরা এখানকার কোচবিহারের একদম খোদ নেটিভ লোক।  ওখানে(SDO অফিস) কম্পিউটারে দেখাল, আপনার নাম কাটা গেছে। আপনার এখন নাম নেই, আপনি ভোটার না।  কিন্তু লেখা আছ, সেল্ফ। সেল্ফ মানে আমি নিজে তাহলে ডিলিট করেছি। এটা নিয়ে আমার স্ত্রী খুব চিন্তায় আছেন। এটা কে করল বা কারা করল তাদের শাস্তি চাইছি।  কোচবিহারের দিনহাটা পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ধনেশ্বর বর্মন।ব্যাঙ্কের অবসারপ্রাপ্ত কর্মী। স্ত্রী-ও অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মী।এমনকী, ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাউন্টিং অফিসার হিসেবেও কাজ করেছেন তাঁর স্ত্রী।ছেলেও সরকারি কর্মচারী। অথচ অভিযোগ, তাদেরই নাম বাদ গেছে কমিশনের প্রকাশিত তালিকায়..। দিনহাটা পুরসভা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অঞ্জনা বর্মন বলেন,  গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে  কাউন্টিং অফিসার ছিলাম। কী করে আমাদের নামটা বাদ পড়ে, আমি তো অবাক হয়ে গেলাম। কে করল এই কাজটা? এটা খুঁজে বের করতেই হবে। তাঁর উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। তাঁর শাস্তি পেতে হবে। আর এই নিয়ে স্বভাবতই জেলা রাজনীতিতে তুমুল তরজা শুরু হয়েছে।

তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র  পার্থপ্রতিম রায় বলেন, এই যে গাফিলতি। এটা নির্বাচন কমিশন ডেডিকেডেটলি এ ধরনের ভুল ভাল করছে। মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে। মানুষ চরম হতাশায় নিমজ্জিত হচ্ছে।  SIR নিয়ে এই যে তড়িঘড়ি করছে, তাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।  এই মানুষগুলোর কী দোষ? কোচবিহার বিজেপি সহ-সভাপতি উজ্জ্বলকান্তি বসাক বলেন , তৃণমূল-কংগ্রেস আগাগোড়াই বিভিন্ন চক্রান্ত করে SIR প্রক্রিয়াটাকে মানুষের মধ্যে ভয়ভীতির কারণ এইভাবে দেখানোর চেষ্টা করছে। তৃণমূল-কংগ্রেসের এই জঘন্য রাজনীতি! তৃণমূল-কংগ্রেসের চক্রান্তের জন্য, ষড়যন্ত্রের জন্য সাধারণ মানুষ সর্বক্ষেত্রে বিভ্রান্ত হচ্ছেন। SIR নিয়ে সমান তালে চলছে রাজনীতি!কিন্তু এ বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি মিলবে কবে? সে চিন্তা থেকেই যাচ্ছে।