রুমা পাল, অনির্বাণ বিশ্বাস ও শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা: একের পর এক BLO-র মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় রাজনীতি। এই আবহে, বিজেপি শাসিত গুজরাতে এক BLO-র মৃত্যুতে সুর চড়াল তৃণমূল। X হ্য়ান্ডেলে তৃণমূলের তরফে লেখা হয়েছে, তামিলনাড়ু, রাজস্থান এবং কেরালার পর এখন গুজরাত। SIR-এর ভয়াবহ চাপের মুখে, মোদি-শাহের গুজরাতে একজন BLO আত্মহত্যা করে মারা গেছেন। পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপিও।
আরও পড়ুন, ২৬-এ ভবানীপুরে হারাব, গোল্লা নিয়ে বাড়ি যাবে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর
পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জোরকদমে চলছে SIR. এর মধ্য়েই একের পর এক BLO-র মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় রাজনীতি। এই আবহে, বিজেপি শাসিত গুজরাতে এক BLO-র মৃত্যুতে সুর চড়াল তৃণমূল। X হ্য়ান্ডেলে লেখা হয়েছে, তামিলনাড়ু, রাজস্থান এবং কেরালার পর এখন গুজরাত। SIR-এর ভয়াবহ চাপের মুখে, মোদি-শাহের গুজরাতে একজন BLO আত্মহত্যা করে মারা গেছেন।গুজরাতের BLO অরবিন্দ ভাধের তাঁর সুইসাইড নোটে লিখেছেন, 'আমি আর SIR-এর কাজ করতে পারছি না।' মৃত BLO-র পরিবারের এক সদস্যের বক্তব্য পোস্ট করে তৃণমূলের তরফে আরও লেখা হয়েছে,শুধু বাংলাতেই নয়, এমনকী অন্যান্য রাজ্যেও, BLO অসুস্থ হয়ে পড়ছেন এবং দুর্ভাগ্যবশত কেউ কেউ অসহনীয় কাজের চাপের কারণে মারা গেছেন। স্বাভাবিকভাবেই, BLO-দের চরম কাজের চাপ এবং পরিস্থিতি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠছে।একের পর এক এই মৃত্যুর দায় কি নেবে নির্বাচন কমিশন?
এদিকে, নদিয়ায় কাজের চাপে এক BLO-র মৃত্যুর অভিযোগ তুলেছে পরিবার। পরিবারের দাবি, কাজের চাপেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন রিঙকু তরফদার নামে ওই বুথ লেভেল অফিসার। এমনকী সুইসাইড নোটে নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করা হয়েছে বলেও দাবি পরিবারের। শনিবার সেই সুইসাইড নোট নিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি শুভঙ্কর সরকার বলেন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রশিক্ষণ ছাড়া করার কী দরকার ছিল? সবমিলিয়ে, কখনও রাজ্য, কখনও ভিনরাজ্যে SIR-এ কাজের চাপে BLO-র মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে সরগরম রাজনীতি।
পশ্চিমবঙ্গে চলছে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন। এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে হাজির হচ্ছেন BLO-রা। এই আবহে, এবার SIR আতঙ্কে সম্প্রতি মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে কোলাঘাটের ভোগপুর গ্ৰামে। মৃত বৃদ্ধার নাম কেসিমান বিবি (৮৩)। পরিবারের দাবি, BLO বাড়িতে SIR ফর্ম দিয়ে যাওয়ার পরই খুব চিন্তিত হয়ে পড়েন।কারণ ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তার নাম নেই। মৃতার ছেলে শেখ নাসিরুদ্দিন বলেন, আমার মায়ের ২০০২-এর ভোটার লিস্টে নামে আসেনি। এই কারণে সে চিন্তাতে ছিল। সে সব জায়গায় গিয়েছে ১৫ দিন ধরে। তার মনে একটা ভয় ঢুকে গিয়েছে। সে খাওয়াদাওয়া এক সপ্তাহ ধরে কমিয়ে দিয়েছিল। রাত্রি ১০.৩০-এ মারা গিয়েছে।