কলকাতা: SIR-আবহে বামনগাছিতে বিস্ফোরক মন্তব্য INTTUC নেতার। 'ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটা গেলে, ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। অঞ্চলের প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পরিবারের মহিলা সদস্যদের মধ্যে এই ভয় ঢুকিয়ে দিতে হবে। লোকের রান্নাঘরে ঢুকে গল্পের মধ্যেই তুলতে হবে ভোটার তালিকার প্রসঙ্গ। সেইসঙ্গে BLO-দের পিছনেও লাগতে হবে', বামনগাছিতে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠানে মহিলা সদস্যদের নির্দেশ INTTUC সভাপতি তাপস দাশগুপ্তর। 

Continues below advertisement

 আরও পড়ুন, অভিষেককে নন্দীগ্রামে দাঁড় করালেও কেউ ভোট দেবে না, চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

Continues below advertisement

হচ্ছে SIR. আর প্রসঙ্গ উঠে আসছে NRC-র। তারই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের হুমকি-হুঁশিয়ারি। তালিকা থেকে বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেছে কেউ লন্ডভন্ড করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন,কেউ রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়ার কথা বলছেন, কেউ আবার বিএলও-দের কে বেঁধে রাখার দাওয়াই দিচ্ছেন। সম্প্রতি আরও একধাপ এগিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন আরেক তৃণমূল নেতা। হরিণঘাটা পুরসভা পুরপ্রধান  দেবাশিস বোস বলেন, ভেঙেচুরে গুঁড়িয়ে দেব কোথাও যদি ডিটেনশন ক্যাম্প হয়। মানুষগুলোর উপর যদি অত্যাচার নেমে আসে। আসামের ঘটনাগুলো সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। NRC-র মধ্যে দিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পের মধ্যে দিয়ে মানুষগুলো কীভাবে অত্যাচার, তাদের ক্রীতদাস করা হচ্ছে।  এই SIR-এর মধ্যে দিয়ে যদি মানুষকে NRC-র দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তার জন্য প্রবল লড়াই তৃণমূল কংগ্রেস করবে।

অপরদিকে, SIR আতঙ্কে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠতেই এবার সোশাল মিডিয়ায় সরব তৃণমূল কংগ্রেস। সোশ্যাল পোস্টে লেখা হয়েছে, 'বিজেপির ভয় ও ঘৃণার রাজনীতির কারণে আরও একটি মূল্যবান প্রাণ হারাতে হল। পানিহাটির ৫৭ বছর বয়সী প্রদীপ কর আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর সুইসাইড নোটে NRC-কে দায়ী করেছেন। দিনহাটায় এক বৃদ্ধ SIR প্রক্রিয়ায় হয়রানির আতঙ্কে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতয়ালির ৯৫ বছরের ক্ষিতীশ মজুমদার। যিনি ইলামবাজারে তাঁর মেয়ের সঙ্গে থাকতেন, তিনি নিজের জীবন শেষ করেছেন। এবার জামালপুরের নবগ্রামের বাসিন্দা, পরিযায়ী শ্রমিক বিমল সাঁতরা SIR আতঙ্কে প্রাণ হারালেন। আতঙ্কিত করতে ও উচ্ছেদের উদ্দেশে তৈরি এটা এমন একটা প্রক্রিয়া। যার বিনিময়ে মানুষকে মূল্য চোকাতে হচ্ছে। SIR হল একটা ভয় দেখানোর অস্ত্র, যা আমাদের জনগণকে হতাশায় ঠেলে দেয়। তাঁদের নাগরিকত্ব ও অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলতে বাধ্য করে।'