কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রাম-চ্যালেঞ্জ শুভেন্দু অধিকারীর। অভিষেককে নন্দীগ্রামে হারানোর চ্যালেঞ্জ বিরোধী দলনেতার। 'নন্দীগ্রামে ১ কোটি করে টাকা দিলেও, কেউ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেয়নি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে দাঁড় করালেও কেউ ভোট দেবে না। আমি চাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখানে পাঠাক', অভিষেককে নন্দীগ্রামে হারানোর চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর। আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভবানীপুরে হারানোর চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর।
ভোটের আগে রাজনীতির ভরকেন্দ্র ভবানীপুর। সম্প্রতি সেখানে দাঁড়িয়েই এই কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করলেন শুভেন্দু অধিকারী। ফের ছুড়ে দিলেন চ্যালেঞ্জ। ভোট আসতে এখনও কয়েক মাস বাকি। তার আগেই রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে ভবানীপুর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র। রবিবার সেখানেই সভা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।ফের ভোটে হারানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এমনিতেই কানের কাছে বাজে হারছি হারছি হারছি। আমার তো মনে হয় SIR হওয়ার পরে উনি হয়তো মেটিয়াবুরুজ চলে যেতে পারেন।
ভবানীপুরে দাঁড়িয়ে ফের ২১ এর ভোটে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর প্রসঙ্গ টেনে আনেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি তুলে ধরলেন লোকসভা ভোট ভিত্তিক ভবানীপুরের ফলাফলও।বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ভবানীপুরের লোকেরা ইয়ে তো পহেলে ঝাঁকি হ্যায়। অভি বহুত বাকি হ্যায়। উনি যেমন লাফিয়ে গেছিলেন নন্দীগ্রামে আমাকে হারাতে আমি ওনাকে হারিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। টোটাল যে বুথ আছে, ১৪২ টা বুথে বিজেপির লিড। আর ওনার লিড ১২৭ টা বুথে। একা চেতলা ৭৭ নম্বর ওয়ার্ড আর সঙ্গে আর একটা ওয়ার্ড। ২ টি মুসলিমপ্রধান ওয়ার্ড। ওনাদের ছাপ্পা মেরে ভোট দিয়ে...মাত্র ৮ হাজারের গ্যাপ হয়ে গেছে। এই আসনের অতীত কী? অতীত বিজেপি। যদিও বিরোধী দলনেতার এই সমস্ত হুঁশিয়ারিতে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল।ভোট ঢের দেরি। তার আগে ভবানীপুর নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী চলছেই।
একুশের বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সেখান থেকে তিনি হেরে যান । পরবর্তী সময়ে উপনির্বাচন হয়। ভবানীপুর থেকে দাঁড়িয়ে জিতে আসেন। এবার দোরগড়ায় ছাব্বিশের বিধানসভা ভোট। যা নিয়ে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে। সম্প্রতি মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে আক্রমণ করতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, 'হারাব, হারাব। ২০ হাজারে হারাব। ভবানীপুরে SIR-এর পরে হারাব ওঁকে। ৮টা ওয়ার্ডের ৫টাতে বিজেপির লিড আছে। বিজেপি হারাবে। যে দাঁড়াবে সে হারাবে। বিজেপি ওখানে ২০১৪ সালে হারিয়েছে। SIR-এর পরে উনি হারবেন। আপনাকেই হাঁটাব। নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। ভবানীপুরে হারাব। প্রাক্তন করব। আপনার ভাইপোকে জেলে পাঠাব। আপনাকে ভবানীপুরে হারাব। আরও পাঁচ বছর হারার যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হবে।' যা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল। আর এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, ' শুভেন্দুবাবু যদি ভবানীপুরে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে তাঁর দাঁড়ানো নিয়ে দলকে কোনও প্রস্তাব দেন, দল তা সাদরে গ্রহণ করবে।'