বীরভূম:  এবার বীরভূমের লাভপুরে 'পরিবর্তন যাত্রা' শুভেন্দু অধিকারীর। এদিন শুভেন্দু বলেন, মাল তুলেছে, আর নেপালে পাচার করেছে, নেপালে মেডিক্যাল কলেজ করেছে। যেখানেই রাখো, গর্ত খুঁড়ে বার করব মাল আমরা। নরেন্দ্র মোদিজি এর নাম। না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা। আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। অনেক বক্তা ছিলেন, সুবক্তা, রাজ্যের নেতা, জেলার নেতা, বিধায়ক। সমস্ত নেতাকে আমার অন্তর থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। এরপরেই বিরোধী দলনেতার গর্জন, আপনারাই পরিবর্তন আনবেন, আপানারা প্রস্তুত, আমি আপনাদেরকে প্রণাম জানাই। '

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, সংসদে প্রধানমন্ত্রীর 'বঙ্কিমদা' সম্বোধন, কলকাতা পুরসভায় নিন্দা প্রস্তাব, BJP-কে আক্রমণ ফিরহাদের, পাল্টা সজল

Continues below advertisement

এরপর এসআইআর ইস্যুতে শুভেন্দুর প্রশ্ন, আপনারা ভোটার লিস্ট দেখে নিয়েছেন ? নাম আছে ? এরপরেই ভুয়ো নাম, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর নাম বাদ গেছে কিনা প্রশ্ন তোলেন। দর্শকআসন থেকে উত্তর আসে। হ্যাঁ। আপাতত ৫৮ লাখ, এত সবে সকালবেলা ব্রেকফাস্ট হচ্ছে। এরপরে তো শুনানি চলবে, একমাস ধরে। যিনি বাবার নাম বদলেছেন, শ্বশুরকে বাবা বানিয়েছেন, শাশুড়িকে মা বানিয়েছেন, যিনি বাংলাদেশের বাবাকে মুর্শিদাবাদের বাবা বানিয়েছেন, তিনি থাকবেন না। অপেক্ষা করুন।বিরোধী দলনেতার সংযোজন, 'এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলেছিলেন, বলেছিলেন এসআইআর হবে না। কবে বলেছিলেন ? ২১ জুলাই ডিম-ভাত অনুষ্ঠানে। আপনারা জানেন, তিনি বলেছিলেন, এসআইআর মানে এনআরসি। আমি ভারতীয় মুসলিমদের ধন্যবাদ জানাবো, যে আপনারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মিথ্যে টুপিটা এবার পরেননি।' 

মূলত এসআইআর শুরু হওয়ার পর রাজ্যের ভুরিভুরি ভুয়ো ভোটারের খোঁজ মিলেছিল। কখনও একই নামের হদিশ বিভিন্ন এলাকায়। আবার প্রতিবেশিকে বাবা বানিয়েও বাংলাদেশির অনুপ্রবেশের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠে এসেছিল প্রকাশ্যে। এর পাশাপাশি ভুয়ো আধার-ভোটার কার্ডের পর্দাফাঁস তো হচ্ছিলই। সেই সঙ্গে এসআইআর-র প্রক্রিয়া চলাকালীন একাধিক এলাকা থেকে ভোটার শূন্য হয়ে যাওয়ার অভিযোগও উঠে আসছিল।

প্রসঙ্গত,  চলতি মাসের শুরুতে বহরমপুরের সভা থেকে SIR নিয়ে  সোজা অমিত শাহকে আক্রমণ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, 'যদি আমরা না করতে দিতাম, তাহলে ইলেকশন না করে রাষ্ট্রপতি শাসন করত। বুঝতে পেরেছেন? চালাকিটা অমিত শাহর? মটুয়া ভাইয়ের?' এদিকে তখন সদ্য এনুমারেশন পর্ব শেষ হয়েছিল, ERO-অফিসে যে হিয়ারিং শুরু হবে, সেই প্রক্রিয়ার ওয়েবকাস্টিংয়ের মাধ্যমে নজরদারির কথা তুলেছিলেন খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেছিলেন,'যে ব্লক অফিস গুলোতে হিয়ারিং হবে, সেই ব্লক অফিসগুলোর অধিকাংশ জায়গাই তো গুন্ডাদের হাতে।'