Radhika Apte: অভিনয় দক্ষতায় অনেক অভিনেতাকেই বলে বলে গোল দিতে পারেন রাধিকা আপ্তে। নিখুঁত অভিনয়, মাপা অভিব্যক্তি, রাধিকার স্ক্রিন প্রেজেন্স সবসময়েই নজরকাড়া। বর্তমানে বলিউডের অভিনয় দক্ষদের তালিকায় নিঃসন্দেহে প্রথম সারিতেই জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। সিনেমা, ওয়েব সিরিজ, শর্ট ফিল্ম, বিভিন্ন ভাষার ছবি - সব ক্ষেত্রেই অভিনয় দক্ষতার স্পষ্ট ছাপ রেখেছেন রাধিকা। তবে 'ডেবিউ ফিল্ম'- এ তাঁর অভিজ্ঞতাও ছিল বেশ তিক্ত। সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের সাক্ষাৎকারে (দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস) সেকথা জানিয়েছেন রাধিকা। শেয়ার করেছেন তাঁর তক্ত অভিজ্ঞতার কথা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রায় ২ দশক ধরে সিনেমার জগতে দাপিয়ে অভিনয় করছেন রাধিকা। তাঁর অভিনয়ের গুণমুগ্ধ অনেক তাবড় শিল্পী। তবে এমন গুণী, কৃতী অভিনেত্রীকেও ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। সেই কথাই এবার প্রকাশ করেছেন রাধিকা আপ্তে।     

Continues below advertisement

'ওয়াহ ! লাইফ হো তো অ্যাইসি' - এটিই ছিল রাধিকা আপ্তের ডেবিউ ফিল্ম। এই ছবিতে ছিলেন শাহিদ কাপুর, সঞ্জয় দত্ত, আরশাদ ওয়ারসি, অমৃতা রাও- সহ আরও অনেক অভিনেতা, অভিনেত্রী। রাধিকা জানিয়েছেন, প্রথম ছবিতেই তাঁর অভিজ্ঞতা ছিল ভয়াবহ। রাধিকা বলেছেন, 'জঘন্য প্রযোজকরা আমায় টাকা দেয়নি। যখন আমি এবং আমার মা ওনাদের চুক্তিতে সই করতে বলি, ওনারা বলেন উর্মিলা মাতণ্ডকরও চুক্তিতে সই করে না। আমি জানি না উনি করেছেন নাকি করেননি। কিন্তু ওনারা আমাদের সঙ্গে ভয়ঙ্কর আচরণ করেছিলেন।'     

এই ছবির পরিচালক ছিলেন মহেশ মঞ্জরেকর। সেই প্রসঙ্গে রাধিকা বলেছেন, 'উনি (মহেশ মঞ্জরেকর) একজন অত্যন্ত ভাল মানুষ। তাই আমি ওই ছবির কথা ভুলে যাওয়াই শ্রেয় মনে করেছি। কিন্তু প্রযোজনা সংস্থা ছিল ভয়াবহ। আর এটা আমি সবসময়েই বলব।' রাধিকা এও জানিয়েছেন যে, মহেশ মঞ্জরেকরও তাঁকে নজর করেছিলেন এবং বলেছিলেন তাঁকে নিয়ে কাজ করতে চান। রাধিকার কথায়, 'ব্রেন সার্জেন নামে একটা নাটক করেছিলাম আমি। খুব ভাল নাটক। রাজ্যের প্রতিযোগীতায় পুরস্কারও জিতেছিলাম। সেখানে বিচারক ছিলেন মহেশ মঞ্জরেকর। তিনিই নাটকের পর আমায় ডেকে বলেন যে আমায় নিয়ে কাজ করতে চান।' রাধিকা আরও বলেছেন, 'ওই ছবির পরে অনেকদিন আর কোনও সিনেমা করিনি। কলেজ শেষ করি। তার অনেকদিন পর ফিরে আসি ছবির জগতে। তাই ওই ছবিটাকে নিজের করা কাজের মধ্যে সেভাবে গণ্য করি না।'    

Continues below advertisement