কলকাতা: মৃত ভোটার খুঁজতে এবার রাজ্যের 'সমব্যথী' কর্মসূচির সহযোগিতা নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।  সমব্যথী প্রকল্পের সহযোগিতা নিতে জেলাশাসকদের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের। সমব্যথী প্রকল্পে শ্মশানে দাহ করতে ২০০০ টাকা করে দেয় রাজ্য। সমব্যথী প্রকল্পে কতজন সুবিধা নিয়েছেন, তালিকা প্রস্তুত করতে নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের। আগামী ১০ দিনের মধ্যে মৃত ভোটারের তালিকা তৈরি করতে জেলাশাসকদের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের। 

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, 'SIR-এ নাম তুলুন, যদি নাম বাদ যায়, তাহলে NRC-তে ডাকবে..' ! বার্তা অনুব্রত মণ্ডলের

Continues below advertisement

মৃত ভোটারদের তথ্য পেতে এবারও রাজ্য সরকারের 'সমব্যথী প্রকল্পে'র সহায়তা নেবে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যজুড়ে SIR প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের এনুমারেশন ফর্ম দিচ্ছেন BLO-রা। SIR-এর একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল মৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া। আর এখানেই এবারও রাজ্য সরকারের 'সমব্যথী প্রকল্পে'র সহায়তা নেবে নির্বাচন কমিশন। সমব্যথী প্রকল্প কী? দরিদ্র পরিবারের মৃত ব্যক্তির সৎকার এবং শেষকৃত্যের জন্য ২ হাজার টাকা অনুদান দেয় রাজ্য সরকার।এর জন্য স্থানীয় পুরসভা বা পঞ্চায়েতে মৃতের পরিচয়পত্র এবং ডেথ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়।

এরপর মৃতের নিকট আত্মীয়কে এই অনুদান প্রদান করে রাজ্য সরকার।মৃত ভোটারদের তথ্য পেতে, ২০১৯ সাল থেকেই 'সমব্যথী প্রকল্পে'র সহায়তা নেয় নির্বাচন কমিশন।SIR-এর ক্ষেত্রেও রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের সহায়তা নিতে সব জেলা শাসকদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ১০ দিনের মধ্যে মৃত ভোটারের তালিকা তৈরি করতে জেলা জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মৃত ভোটারদের তালিকা তৈরির সময়, রাজ্য সরকারের 'সমব্যথী প্রকল্পে'র অধীনেও কতজন সুবিধা নিয়েছে, তাও দেখতে বলেছে কমিশন।এর পাশাপাশি, প্রয়োজনে পরিবারের লোককে ফোন বা ভিডিও কল করেও মৃত ভোটারদের তথ্য নিশ্চিত করা যাবে বলে জানানো হয়েছে।

গত কয়েক মাসে সামনে এসেছে আরও একাধিক ভুয়ো ভোটারের ঘটনা। বাংলাদেশে রশিদুল গাজি। আর ভারতে আব্দুল গাজি। এমনকী শ্বশুর মশাইকে বাবা সাজিয়ে ভোটার কার্ডও বানিয়ে ফেলেছেন। SIR আবহে হিঙ্গলগঞ্জে হদিশ মিলল এমনই এক ব্যক্তির। যিনি নিজের মুখেই স্বীকার করলেন, ভুয়ো নথি দিয়ে ভারতের ভোটার কার্ড বানানোর কথা। এ যেন সীমান্ত পেরোতেই ভোল বদল। একসময় বাংলাদেশের বাসিন্দা রশিদুল গাজি,এদেশে এসে নাম বদলে হয়ে গেছেন আব্দুল গাজি! রাজ্যে SIR-আবহে এমনই একজনের হদিশ মিলল উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে। এখানেই শেষ নয়, ভুয়ো নথি দিয়ে বাংলাদেশের নাগরিক থেকে এদেশের ভোটার হওয়ার স্বীকারোক্তিও শোনা গেল এই ব্যক্তির মুখে।

 বিয়ে-শাদি করেছি, এখানে ছেলে-পিলে আছে, বৌ-বাচ্চা আছে। শাশুড়ি আমার নামে জায়গাও লিখে দিয়েছে। বাংলাদেশে বাড়ি ছিল... দেবহাটা থানা, সাতক্ষীরা জেলায়। কিন্তু কীভাবে বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে গেলেন ভারতের ভোটার? স্থানীয় সূত্রে দাবি, ২০১২ সালে, কাজের খোঁজে ওপার বাংলাদেশ থেকে এদেশে আসেন রশিদুল গাজি। কাজ করতে যান তামিলনাড়ুতে। সেখানে আলাপ হয় হিঙ্গলগঞ্জের বাসিন্দা গফুর আলি গাজির মেয়ে রুমেশার সঙ্গে, পরে তাঁদের বিয়ে হয়।অভিযোগ, এরপরেই শ্বশুর গফুর আলি গাজিকে বাবা সাজিয়ে, হিঙ্গলগঞ্জের শ্রীধর কাটি এলাকার ভোটার কার্ড বানিয়ে ফেলেন তিনি। যেখানে তাঁর নাম রশিদুল গাজির বদলে দেওয়া হয় আব্দুল গাজি।তামিলনাড়ুতে কাজ করতে গিয়ে ওখানে যোগাযোগ হয়। ওদের বিয়েও হয়।এই ঘটনা সামনে আসার পরেই শুরু হয়েছে দায় ঠেলাঠেলির রাজনীতি।