সমীরণ পাল, অনির্বাণ বিশ্বাস, শিবাশিস মৌলিক,কলকাতা: ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর, আইনে পরিণত হয়েছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। কিন্তু ৬ বছরেও কেন CAA সার্টিফিকেট পাননি মতুয়া সম্প্রদায়ের সবাই? SIR আবহে জোরালো হয়ে উঠছে এই প্রশ্ন। মতুয়াদের পাশে আসলে কে? তা নিয়েও চলছে দড়ি টানাটানি।

Continues below advertisement

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, বাংলাদেশের নাগরিক দিদি-জামাইবাবুর নামে এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার অভিযোগ ! বিতর্কে হাবড়ার BLO

একদিকে বিধানসভা ভোটের দামামা বেজে গেছে। অন্যদিকে জোরকদমে চলছে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনের কাজ। এই পরিস্থিতিতে ফের যে বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে, তা হল - CAA, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। SIR আবহে ভোটার তালিকায় নাম রাখার জন্য মতুয়া সম্প্রদায়ের কাছে যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারণ CAA সার্টিফিকেট থাকলে, তবেই নাগরিকত্বের পরিচয় পাবে তারা। 

গাইঘাটা মতুয়াবাড়ির সদস্য ও বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর বলেন, আমাদের আবেদন হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র দফতরের (মন্ত্রকের) কাছে এবং প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কাছে, যে এই মানুষগুলো যারা দু'দিন পরে পাবে, কাল কেন পাবে না? বা আজকে পাবে? তাঁদের ফাস্ট ট্র্যাক করা হোক। ২০১৯ সালে, দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করিয়েছিল কেন্দ্রের মোদি সরকার। ওই বছর ১২ ডিসেম্বর, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের স্বাক্ষরের পর আইনে পরিণত হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। যদিও এরপর CAA-র বিজ্ঞপ্তি জারি করতেই প্রায় ৪ বছর সময় চলে যায়। ফলে প্রশ্ন হচ্ছে, আইন হওয়ার ৬ বছরেও কেন সব মতুয়া নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেলেন না? রাজ্যে প্রায় ২ কোটি ৮৭ লক্ষ মানুষ নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের। যার সিংহভাগই মতুয়া।বাংলার অন্তত ৮০টি বিধানসভা কেন্দ্রে মতুয়া ভোট বড় ফ্য়াক্টর।তাই সেই ভোটব্যাঙ্কের দিকে নজর থাকে সব দলের। একুশে এরাজ্য়ে বিধানসভা ভোটের সময় বাংলাদেশের ওড়াকান্দিতে মতুয়া ধর্মমতের প্রবক্তা হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মভিটেতে যান নরেন্দ্র মোদি। ওই বছর বিধানসভা ভোটের ফলাফলে দেখা যায়,মতুয়া অধ্যুষিত বনগাঁ ও রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত, ১৪টা বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১২টিতে জয়ী হয় বিজেপি। 

২০২৪-এর লোকসভা ভোটেও রানাঘাট ও বনগাঁ ধরে রাখে বিজেপি।কিন্তু SIR পর্বে যখন খসড়া তালিকায় বহু মতুয়ার নাম বাদ গেছে বলে অভিযোগ, তখন তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে মতুয়া ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাতে চাইছে শাসক-বিরোধী সব পক্ষই।সবশেষে একটাই প্রশ্ন, ৬ বছরে যা হয়নি, ২ মাসে কি তা সম্ভব?