রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: চোরাপথে ভারতে, ধূপগুড়িতে এনুমারেশন ফর্ম নিতে গিয়ে হাতেনাতে পাকড়াও এক বাংলাদেশি ! ২০১০ সালে বাংলাদেশের রংপুর থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল সে। তারপর থেকে ময়নাগুড়িতেই বসবাস করছিল শ্যামল রায় নামে ওই বাংলাদেশি।
আরও পড়ুন, 'স্বেচ্ছাচারিতার পাঁচালি' , মুখ্যমন্ত্রীর 'উন্নয়নের পাঁচালিকে' কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর
কত দিন ধরে এদেশে সে বসবাস করছিল, কীভাবেই বা নাম তুলেছিল ভোটার লিস্টে ? শ্যামল রায়, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সে গত ২০১০ সালে ময়নাগুড়ি রাজারহাটে এসে বসবাস শুরু করেছিল। ইতিমধ্যেই সে ক্যামেরার সামনে স্বীকারও করেছে যে, ভারত-বাংলাদেশের কাঁটাতারের বেড়া ক্রস করে স্ত্রীকে নিয়ে এই ময়নাগুড়ি রাজারহাটে বসবাস শুরু করে। পরবর্তীতে ধূপগুড়ির মাগুরমারি এলাকায়, চিনিরাম রায় এবং তার স্ত্রী, এই দুইজনকে বাবা-মা সাজিয়ে সে কিন্তু, ভোটার তালিকায় নিজের নাম তোলে। পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট স্বীকার করেছে, সাড়ে ৯ হাজার টাকার দালালকে দিয়ে, সে ভোটার তালিকায় নাম তোলে।
এদিকে আজ যখন শ্যামল রায়, এনুমারেশন ফর্ম নিতে গিয়েছিল, সেইসময় স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে চেপে ধরে। এবং তাঁকে চিনতেও পারেনি বলে দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা। এই এলাকায় থাকে না, তারপরেও কীভাবে তাঁর নাম ভোটার তালিকায় উঠল ? এই নিয়ে তাঁকে চেপে ধরার পর, শ্যামল রায়, স্বীকার করেছে। পাশাপাশি স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী বলেছেন, এই শ্যামল রায় যখন কাঁটাতার বেড়া দিয়ে ভারতে প্রবেশ করছিল, বিএসএফ কী করছিল ? তার জবাব কেন্দ্রীয় সরকারকে দিতে হবে। পাশাপাশি সে যদি অবৈধভাবে এপারে এসেই থাকেন, এবং দালালের মাধ্যমে অন্যান্য নথি তৈরি করেই থাকেন, সেটা তদন্ত করবে বিএলও। তার কোনও দোষ থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
SIR-আবহে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। CEO দফতরে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করলেন, ২৬, ২৭, ২৮ এই ৩ দিনের প্রত্যেকটা এন্ট্রিকে অডিট করতে হবে। অন্য়দিকে, ফিরহাদ হাকিম অভিযোগ করেছেন, পুরো ব্লক কে ব্লক উধাও হয়ে গেছে। ইলেকশন কমিশন এখন ম্যাজিশিয়ান হয়ে গেছে। ভ্যানিশ করে দিচ্ছে।বিজেপি দাবি করছে, 'SIR'-এ গরমিল করে অবৈধ ভোটারের নাম রাখা হচ্ছে! অন্যদিকে তৃণমূল দাবি করছে বহু জায়গায় বৈধ ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে!কারও নিশানায় রাজ্য় সরকারের পদস্থ আমলা! তো কেউ আবার নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করছেন!