কলকাতা: বছর পেরোলেই ছাব্বিশের নির্বাচন। ঠিক তার আগেই 'উন্নয়নের পাঁচালি' প্রকাশ রাজ্য সরকারের। রাজ্যে ১৪ বছরের উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশের পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, 'আমি ভাগাভাগির রাজনীতি করিনি',ডিটেনশন ক্যাম্প নিয়ে কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Continues below advertisement

এদিন শুভেন্দু বলেন, প্রয়াত রতন টাটা যেটা বলে গেছেন, সেটাই সঠিক। যে ট্রিগার মাথায় রেখে আমাকে রাজ্য থেকে তাঁড়ানো হল। আমি খারাপ M এর কাছ থেকে ভাল M এর কাছে গেলাম। আমি তখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। আর এই রাজ্য থেকে বিরোধী দলনেত্রী ছিলেন আপনি। ..আপনার সার্টিফিকেট প্রয়াত রতন টাটা দিয়ে গিয়েছেন। আপনাকে শিল্প নিয়ে আর কিছু করতে হবে না।..আবার আজকে বলেছেন দেউচা পাঁচামিতে ১ লক্ষ মানুষের কর্ম সংস্থান হবে ! আপনি নির্বাচনে চালিয়ে যাচ্ছেন। ৪২ লক্ষ ছেলে মেয়েকে স্কিল ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। এরও তালিকা আমরা দেখতে চাই। আপনার আমলে , স্বাস্থ্য বাজেটে ছয় গুণ বৃদ্ধি হয়েছে। আপনি অবিলম্বে আয়ুষ্মান ভারত চালু করুন। ' 

শুভেন্দু আরও বলেন, ' সীমাহীন স্বেচ্ছাচারিতার পাঁচালি মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ করেছেন। এবং আমরা বলি এটা জলাঞ্জলির পাঁচালি। পশ্চিমবঙ্গ, বাংলার গৌরব, সংষ্কৃতি, মায়ের সম্মান, কন্যার সুরক্ষা, আপনার হাতেই, জলাঞ্জলি হয়েছে। এর উত্তর অভয়ার বাবা-মা সঠিকভাবে দিতে পারবেন। তাই এই মুখ্যমন্ত্রীর  বিরুদ্ধে ভারতীয় জনতা পার্টি, যথা সময়ে রাজ্যস্তরে ব্যর্থতার শ্বেতপত্র প্রকাশ করা শুধু নয়, ২৯৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রে, আপনি ১১, ১৬, ২১ এর বাজেটে, ডিপার্টমেন্টাল বাজেটে, কী কমিট করেছেন, আর কী করেছেন, আমরা জানুয়ারি মাসে প্রতিটা বিধানসভাতে, উপস্থিত হয়ে আপনার বিরুদ্ধে, আপনার নির্বাচিত এমএলএ-দের বিরুদ্ধে, আমরা চার্জশিট দাখিল করব।' 

নজরে ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন।সেদিকে তাকিয়েই, মঙ্গলবার নবান্নে তৃণমূল সরকারের সাড়ে ১৪ বছরের রিপোর্ট কার্ড তুলে ধরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দফতর ভিত্তিক কাজের খতিয়ানের নাম দেওয়া হয়েছে 'উন্নয়নের পাঁচালি'। আর এই নিয়ে বলতে গিয়ে ফের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কবে আর দেবেন? ভোট তো এসে যাচ্ছে। এর পরে কি ফেব্রুয়ারিতে ছাড়বেন, ছেড়ে বলবেন টাকাটা মার্চে খরচ হল না, ফিরে গেল! তখন তো আর খরচ করার সময়ও থাকবে না। প্রসেস আছে তো। বছরের টাকা বছরে খরচ করতে হয় অর্থবর্ষে। চালাকিটা আমরাও বুঝি।