সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ, মাইকে করে ঘোষণার পরও ভোটারের খোঁজ মেলেনি। আর এবার, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় খসড়া তালিকা প্রকাশ হতেই সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বাগদার একটি বুথেই, ৪৯০ জন ভোটারের মধ্যে নাম বাদ গেছে অন্তত ১৬৫ জন ভোটারের। যা ঘিরে রাজনীতির দায় ঠেলাঠেলি শুরু হল জেলা রাজনীতিতে। যদিও, এর নেপথ্যে কোনও রাজনীতি আছে বলে মানতে নারাজ বাগদার BDO.
আরও পড়ুন, 'এত সবে ব্রেকফাস্ট, এরপরে তো শুনানি চলবে, ১ মাস ধরে..' ! SIR ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা শুভেন্দুর
নিয়ম মেনে বাড়ি বাড়ি গেছিলেন BLO,এইভাবে মাইক নিয়ে চলে ঘোষণাও, কিন্তু, ভোটারের হদিশ মেলেনি। আর এবার খসড়া তালিকা প্রকাশ পেতেই সামনে এল এই চাঞ্চল্যকর ছবি। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার একটি বুথেই, নাম বাদ গেছে অন্তত ১৬৫ জন ভোটারের।বাগদা BDO অখিল মণ্ডল বলেন, এই যে ১৬৫ জনকে যে BLO পায়নি, এরা আমাদের কমিশনের যে নিয়ম আছে সেই নিয়ম অনুযায়ী BLO তিনবার গেছে। আমরা বিভিন্নরকমভাবে চেষ্টা করেছি। এমনকী আমরা বুথেও লিস্ট টাঙিয়ে দিয়েছিলাম। গ্রামে প্রচারও করা হয়েছিল। ' সিন্দ্রানী পঞ্চায়েতের খড়ের মাঠ ২৪ নম্বর পার্টে মোট ভোটার ৪৯০ জন। কিন্তু অভিযোগ, SIR প্রক্রিয়ার এনুমারেশন পর্বে, তাদের মধ্যে অন্তত ১৬৫ জনের হদিশই পাননি BLO. প্রায় ৩৪ শতাংশ ভোটারের খোঁজ না পেয়ে..পাড়ায় পাড়ায় মাইকে ঘোষণা করা হয়।বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এনুমারেশন ফর্ম গ্রহণ করেননি এমন ভোটারদের একটি তালিকাও প্রকাশ করা হয়..কিন্তু, তাতেও কোনও সাড়া না মেলায়, শেষমেষ খসড়া তালিকা থেকেও বাদ পড়লেন তাঁরা। এখানে প্রশ্ন উঠছে, একটি বুথের এতজন ভোটার রাতারাতি কোথায় চলে গেলেন? কেনই বা উধাও হয়ে গেলেন? এতদিনে তাঁরা কাকে ভোট দিচ্ছিলেন? তাঁদের ভোটে কোন দল লাভবান হচ্ছিল? সিন্দ্রাণী পঞ্চায়েত বিজেপি সদস্য কল্পনা মণ্ডল বলেন, শাসকদলে যারা থাকে সবসময় তাদের দলটা ভারী থাকে। তাদেরই কারসাজি এগুলো। এগুলো তো সম্ভব না আমাদের করা। আমরা যেহেতু বিরোধী পক্ষের লোক। আমাদের কিন্তু সবসময় নীচু হয়েই থাকতে হয় ওদের কাছে। বাগদা পশ্চিম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নিউটন বালা বলেন, তাই যদি হবে তাহলে ওই বুথে তো তৃণমূলের সদস্য জিতবে। ওখানকার বিজেপির সদস্য কল্পনা মণ্ডল, সে জিতেছে। এই সব অপকর্ম করেই জিতেছে।
যদিও এমন ঘটনার নেপথ্যে রাজনীতির কথা মানেননি বাগদার BDO.বাগদা BDO অখিল মণ্ডল বলেন, এটা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। কারণ এখান থেকে হয়তো কেউ অন্য রাজ্যে চলে গেছেন, পুরোপুরিভাবে চলে গেছে বা কাজের জন্য চলে গেছে। পরিযায়ী শ্রমিক হতে পারে। আমাদেরকে দেখতে হবে কেন মিসিং। গত মঙ্গলবার রাজ্যের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ পেয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত তালিকা।