নয়াদিল্লি: নির্ধারিত সময়সূচিতে বার বার বদল ঘটছিল। বার বার পাল্টাচ্ছিল অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময়সূচিও। ভারতীয়দের আমেরিকায় যাওয়ার স্বপ্ন এবার জোর ধাক্কা খেল। আমেরিকায় যেতে H1B এবং H-4 ভিসাই মূলত ভরসা ভারতীয়দের। কিন্তু সেই ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট অনেকটাই পিছিয়ে গেল। ২০২৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত আপাতত পিছিয়ে দেওয়া গেল ইন্টারভিউ। (United States Visa)
এর আগে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি এবং মার্চে ইন্টারভিউ পিছিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু এবার একেবারে অক্টোবর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হল ইন্টারভিউ। The American Bazaar জানিয়েছে, অভিবাসন সংক্রান্ত কাজকর্ম দেখেন যে আইনজীবীরা, তাঁদেরও ফিরে আসতে হচ্ছে। ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাসে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল যাঁদের, তাঁদের অ্যাপয়েন্টমেন্টও পিছিয়ে গিয়েছে ২০২৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত। (US H1-B Visa)
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যে ভারতীয়দের অ্যাপয়েন্টমেন্ট পিছিয়ে গিয়েছে, তাঁরা সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন। যেনতেন প্রকারে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। কিন্তু এতে কোনও সুরাহা হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে আমেরিকার কনস্য়ুলেটের তরফে শত শত আবেদনকারীতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পিছিয়ে যাওয়ার কথা জানানো হয়। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ঠিক ছিল এমন অনেককে মে-জুন মাসে যেতে বলা হয়েছে।
দ্বিতীয় বার আমেরিকার মসনদে ফেরার পর থেকেই ‘বিদেশি তাড়াতে’ বিশেষ ভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম-কানুনেও বিস্তর রদবদল ঘটিয়েছে তাঁর সরকার। আরও কড়া বিধিনিয়ম চালু করা হয়েছে, এমনকি আবেদনকারীর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টেও নজরদারি চালানো হবে বলে ঠিক হয়েছে। আমেরিকার জাতীয় নিরাপ্ততা স্বার্থেই এমন পদক্ষেপ বলে দাবি ট্রাম্প সরকারের। তবে এতে বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
আমেরিকার এই অভিবাসী নীতির জেরে ভারতীয়রাও ক্ষকিগ্রস্ত হচ্ছেন। অফিস ছুটি থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছিলেন অনেকে। ফেরার জন্য ভিসা করাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা। H1B ভিসা নিয়ে যাঁরা আমেরিকায় চাকরি করতে যান, তাঁদের পরিবার, স্ত্রী, সন্তান H-4 ভিসা নিয়ে সেখানে পৌঁছন। H-4 ভিসার অধিকারীরাও সমস্যায় পড়ছেন। পরিবারের লোকজন পরস্পরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
সম্প্রতি বিদেশ বিভাগের এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে CNN জানায়, জানুয়ারি মাস থেকে ৮৫০০০ ভিসা বাতিল করেছে আমেরিকার সরকার। যে ৮৫০০০ ভিসা বাতিল করা হয়েছে, তার মধ্যে ৮০০০-এর বেশি পড়ুয়াও রয়েছেন, যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। আমেরিকার নাগরিকদের ‘সুরক্ষা’র জন্যই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানান ট্রাম্পের বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও।