কলকাতা: মাঝে কয়েক দিনের ব্যবধান। ফের শুরু বাগ্‍যুদ্ধ। ফের বোস বনাম বন্দ্যোপাধ্যায়! রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রবিবার তিন বছর পূরণ করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সেই উপলক্ষে এদিন রাজভবনে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাজ্যপালের মুখে শোনা যায় হিংসামুক্ত বাংলার কথা। এমনকী SIR আবহে, বাংলাদেশে ফেরার হিড়িকের মধ্যে সীমান্তে যাওয়ার কথাও বলেন তিনি। রাজ্যপাল  সি ভি আনন্দ বোস বলেন, আমার ২টি লক্ষ্য রয়েছে যার জন্য কাজ করে যাব, সেটা হল হিংসামুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত বাংলা এবং বিকশিত বাংলা। দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রয়োজন। পাল্টা তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, 'ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দেব, তোমাকে কেটে কুচি কুচি করব..' ! ভোটারের নাম কাটার আশঙ্কায় BLO-কে হুমকির অভিযোগ, গ্রেফতার তৃণমূলের BLA

Continues below advertisement

 তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন,২০২৬, এই রাজ্যপাল বিজেপির বোঝা হয়ে দাঁড়াবে দেখবেন। উনি (রাজ্যপাল) তিন বছর ধরে নাটক করেছেন, দু বছরের মাথায় ২০২৪-এ আমরা ২৯ হয়েছি, ওঁর দল, ওঁর দল, রাজ্যপালের দল ১২-তে নেমে গেছে। উনি নাটক করবেন, খেলবেন, দুলবেন, যা ইচ্ছা করবেন, আমার কিছু এসে যায় না। উনি হচ্ছেন ইষ্টের দশম অবতারের এক অবতার। উনি যা ইচ্ছা করতে পারেন। 

জবাব দিতে দেরি করেননি রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। দিন কয়েক আগে বেনজির সংঘাতে জড়ান সিভি আনন্দ বোস ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন তৃণমূল সাংসদ। শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ  কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজভবনে বসে ক্রিমিনালদের রাখছেন আর সবাইকে একটা করে বন্দুক দিচ্ছেন, বোমা দিচ্ছেন, মেরে এসো তৃণমূলের লোকেদের। পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে সাধারণের জন্য রাজভবনের দরজা খুলে দেন রাজ্যপাল। পরের দিনই বম্ব স্কোয়াড, ডগ স্কোয়াড এনে রাজভবনে তল্লাশি করান। এরপরও অবস্থানে অনড় থেকে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ান তৃণমূল সাংসদ। জল গড়ায় থানা পর্যন্ত। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন রাজ্যপাল ও তৃণমূল সাংসদ। 

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, যদি সাংসদ মিথ্য়ে কথা বলেন তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সাংবিধানিক পদ নিয়ে এমন মন্তব্য়ের জন্য়।  তাঁর মন্তব্য় আইন বিরোধী। যেটা সহ্য় করা যায় না। এই আবহেই এবার ফের সংঘাতে জড়ালেন সি ভি আনন্দ বোস ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সবমিলিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে শাসকদলের সাংসদের সংঘাত কমার যেন কোনও লক্ষণই নেই।