কলকাতা: মিশন ২৬, নরেন্দ্র মোদির পর এবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। SIR আবহে প্রথমবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ৩০ ডিসেম্বর কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ। বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন অমিত শাহ। ভোট কৌশল নিয়ে বৈঠক করবেন অমিত শাহ। বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, বাংলাদেশের নাগরিক দিদি-জামাইবাবুর নামে এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার অভিযোগ ! বিতর্কে হাবড়ার BLO

Continues below advertisement

গতমাসে বিহার জয়ের নৈশভোজ থেকে, বিজেপির নেতাদের উদ্দেশে, পশ্চিমবঙ্গের ভোটের জন্য় তৈরি থাকার বার্তা দিয়েছিলেন অমিত শাহ। সূত্রের দাবি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, সবসময় লড়াইয়ের মোডে থাকুন। যে কোনও জায়গায় ডিউটি পড়তে পারে।  বিজেপির নেতা-কর্মীদের জন্য় এভাবেই পরের টার্গেট বেঁধে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ! বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, যে কোনও মুহূর্তে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে লড়াইয়ে।

মূলত SIR-এর পর প্রথম বিধানসভা ভোট হয় বিহারে। আর সেখানে নজরকাড়া ফল করেছে বিজেপি। গত দশ বছরের মধ্য়ে এই প্রথমবার বিহারে প্রাপ্ত আসনের নিরিখে ফার্স্ট বয় হয়েছে বিজেপি। আর সেই ফল ঘোষণার দিনেই স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, বিহার জিতে এবার তাঁদের পরের লক্ষ্য় পশ্চিমবঙ্গ!

তিনি বলেছিলেন, এই জয় কেরল, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, অসম এবং পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি কর্মীদের আত্মবিশ্বাসে ভরপুর করে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির জয়ের রাস্তা তৈরি করে দিল বিহার। মোদির কথায়, আমি পশ্চিমবঙ্গের ভাই-বোনেদের আশ্বস্ত করছি, এবার বিজেপি আপনাদের সঙ্গে মিলে, পশ্চিমবঙ্গ থেকেও জঙ্গলরাজকে উপড়ে ফেলবে। 'অন্য়দিকে,  বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ও।

'দুর্যোগের বার্তা', 'দুরভিসন্ধি', 'দুর্যোধন', 'দুঃশাসন', SIR আবহে অমিত শাহকে নিশানা করতে গিয়ে এমনই নানা বিশেষণ প্রয়োগ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  পাশাপাশি ফের আশ্বাস দিলেন "বাংলায় NRC, ডিটেনশন ক্যাম্প হবে না।" "বাংলাদেশি মুসলমান, অনুপ্রবেশকারী, রোহিঙ্গাদের ফিরতেই হবে", পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছিল বিজেপিও। সম্প্রতি কৃষ্ণনগরের সভা থেকে অমিত শাহকে আক্রমণ করতে গিয়ে মহাকাব্য়ের চরিত্রদের রাজনীতির জগতে টেনে এনেছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।

মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন,বর্ডার এলাকায় যেখানে BSF আছে, ওদের ধারেকাছে যাবেন না। এখানে একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন, তিনি করতে পারেন না এমন কোনও কাজ নেই। তার দু’চোখ দেখলেই মনে হয় ভয়ঙ্কর। দুর্যোগের বার্তা, দুরভিসন্ধি, এক চোখে তার দুর্যোধন, আরেক চোখে তার দুঃশাসন। তিনি বলে দেন, এদের সব বাংলাদেশি বলে বাদ দিয়ে দাও। এদের রোহিঙ্গা বলে বাদ দিয়ে দাও।