বাঁকড়া (হাওড়া ) : আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার ২ যুবককে নিয়ে তল্লাশি চালাল বেঙ্গল এসটিএফ (Bengal STF)। হাওড়ায় (Howrah) বাঁকড়ায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে কোচিং সেন্টার চালাত ২ যুবক। কোচিং সেন্টারের আড়ালে জঙ্গি মডিউল তৈরির কাজ করত ধৃতরা, এমনই সন্দেহ এসটিএফের। তাই ওই ফ্ল্যাটে ধৃতদের নিয়ে গিয়ে সূত্রের খোঁজে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালায় এসটিএফ।
এর আগে রাজ্যে সামনে এসেছিল মঙ্গলকোটের শিমুলিয়া মাদ্রাসের নাম। খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডের সূত্র ধরে। সেই সময় অভিযোগ উঠেছিল, যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে খাগড়াগড়ে হ্যান্ড গ্রেনেড সহ বিভিন্ন বিস্ফোরক তৈরি করা হচ্ছিল, শিমুলিয়ার মাদ্রাসাতেও একই কায়দায় অস্ত্রশস্ত্র তৈরি করা হত। সেই ভাবেই কি হাওড়ার বাঁকড়াতেও কোচিং সেন্টারের আড়ালে চলছিল জঙ্গি মডিউল ? রাজ্য পুলিশের STF-এর জালে সন্দেহভাজন দুই আল কায়দা জঙ্গির ধরা পড়ার পর সেই প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়েছে।
আরও পড়ুন ; বন্ধুকে খুনের অভিযোগে ধৃত, শালিমারে GRP লকআপ ভেঙে পালাল দুই অভিযুক্ত
শাসন থেকে গ্রেফতার-
গত বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার শাসন থেকে আব্দুর রকিব সরকার ও কাজি এহসানউল্লাকে গ্রেফতার করে STF। ধৃত কাজি এহসানউল্লার বাড়ি হুগলির আরামবাগে। আব্দুর রাকিব সরকারের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে হলেও, রাজ্য STF সূত্রে খবর, তারা দু-জন ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকত হাওড়ার বাঁকড়ায়। সেখানেই কোচিং সেন্টার চালাত তারা।
এদিন ধৃতদের নিয়ে বাঁকড়া ও পরে হুগলির আরামবাগে নিয়ে গিয়ে খোঁজখবর নেন তদন্তকারীরা। এদিন ধৃতদের নিয়ে বাঁকড়া ও পরে হুগলির আরামবাগে নিয়ে গিয়ে খোঁজখবর নেন তদন্তকারীরা।
রাজ্য STF সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত তারা ১৭ জনের নাম জানতে পেরেছে। ধৃত দুই সন্দেহভাজন জঙ্গির সঙ্গে তাদের কোনও যোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গত মার্চ মাসে, বাঁকড়া থেকেই JMB জঙ্গি সন্দেহে আনিরুদ্দিন আনসারি নামে একজনকে গ্রেফতার করেছিল STF। সূত্রের খবর, সে-ও একটি মাদ্রাসায় পড়াত। তাহলে কি আনিরুদ্দিনের সঙ্গে এহসানউল্লা ও আব্দুর রকিবের সঙ্গে যোগসাজশ ছিল ? তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে STF সূত্রে খবর।
এদিন প্রথমে ধৃতদের নিয়ে বাঁকড়ায় যান তদন্তকারীরা। যে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে দু’জন থাকত, সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। চলে তল্লাশি। আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেও, তথ্য সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা।