Skin Care with Milk: ত্বকের পরিচর্যা করার জন্য ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি ফেসপ্যাক কিংবা ফেসস্ক্রাব ব্যবহার করাই ত্বকের পক্ষে ভাল। আর ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ফেসপ্যাক কিং ফেসস্ক্রাব তৈরির ক্ষেত্রে আমরা অনেকসময়েই দুধ বা দুধের সর ব্যবহার করে থাকি। এই দুধ বস দুধের সরের উপকারিতা কী কী, ত্বক ভাল রাখতে এই উপকরণ কীভাবেই বা কাজ করে সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।


ক্লেনজার- কাঁচা দুধের মতো ভাল ক্লেনজার খুব কমই রয়েছে। অতএব যদি কাঁচা দুধে তুলো ভিজিয়ে তা দিয়ে মুখ পরিষ্কার করা যায় তাহলে ত্বক ভালভাবে পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি মোলায়েম, নরম থাকে। যাঁরা রোহ বাড়ির বাইরে বেরোন তাঁরা বাড়ি ফিরে একটু কাঁচা দুধ তুলোয়ে ভিজিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। এক্ষেত্রে দুধ ঠান্ডা হলে আরও ভাল। 


ময়শ্চারাইজার- ত্বকের যত্নে প্রথম এবং প্রধান শর্ত হল তা পরিষ্কার রাখা এবং ত্বক আর্দ্র বা ময়শ্চারাইজড রাখা। এক্ষেত্রে ঠান্ডা কাঁচা দুধের বিকল্প নেই। ত্বকের জেল্লা বাড়ানোর পাশাপাশি ত্বক নরম, মোলায়েম রাখতেও সাহায্য করে দুধ। 


কাঁচা দুধ না পেলে মিল্ক বেসড প্রোডাক্ট ব্যবহার- যদি কাঁচা দুধ দিয়ে ত্বকের পরিচর্যা করা সম্ভব না হয়, তাহলে মিল্ক বেসড ফেসওয়াশ বা সাবান কিংবা অন্যান্য মিল্ক বেসড প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারে।  


দুধের সঙ্গে মধু কিংবা সামান্য অলিভ অয়েল বা চিনির গুঁড়ো মিশিয়ে তৈরি করে নেওয়া যাক ফেসপ্যাক এবং ফেসস্ক্রাব। ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি এইসব উপকরণ ত্বকের যত্ন নিতে সাহায্যে করে। ত্বকের জৌলুস ফেরায়। কালচে দাগছোপ দূর করে। ত্বক মোলায়েম করে এবং আর্দ্র রাখে। শুধু কাঁচা দুধ নয়, দুধের সরও ত্বকের পরিচর্যায় দারুণভাবে কাজে লাগে। বিশেষ করে ব্ল্যাকহেডস, পিগমেন্টেশন ইত্যাদি সাফ করতে সাহায্য করে দুধ বা দুধের সরের মধ্যে থাকা উপকরণ। ফেসওয়াশ, ফেসপ্যাক, ফেসস্ক্রাবের পাশাপাশি বডি স্ক্রাব হিসেবেও দুধ ব্যবহার করা যায়। ট্যান রিমুভার হিসেবেও কাঁচা দুধ দারুণ ভাবে কাজ করে। তাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নিতে হলে অবশ্যই বিউটি প্রোডাক্টের মধ্যে যুক্ত করুন কাঁচা দুধ বা দুধের সর। দুধ ফুটিয়ে ফেললে তা দিয়েও কাজ হয়। নরম তুলো দুধে ভিজিয়ে তা দিয়ে মুখের পরিচর্যা করবেন। সরাসরি ত্বকে দুধ প্রয়োগ না করাই ভাল। 


আরও পড়ুন- চুলের জন্য হেয়ার ড্রায়ার কতটা ক্ষতিকর?