কলকাতা: আপাতত তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে নেই। তবে কালীঘাটে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হাতে ফোঁটা নিয়ে এলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাহলে কি তৃণমূলে ফেরা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা প্রাক্তন মন্ত্রীর? জল্পনা উস্কে দিলেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ফোঁটা: তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আবার তিনি দলের নেতা-মন্ত্রীদের কাছে দিদি-ও। তাই প্রতিবারের মতো এবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ফোঁটা নিতে, তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে কার্যত লাইন পড়ে গিয়েছিল ভাইদের। আর তাঁদের মধ্যেই ছিলেন তৃণমূলনেত্রীর একদা ঘনিষ্ঠ, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "প্রত্যেকবারই তো এই আশীর্বাদটাকে পাথেয় করে আমার পথ চলে। এটা তো প্রথম নয়। এই দিনটার জন্য আমরা অপেক্ষা করে থাকি। আশীর্বাদটাই আমার কাছে যথেষ্ট।''
কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের মতো বর্তমান মেয়র ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ফোঁটা নিয়েছেন। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের পরপরই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে পরবর্তীকালে পদ্মশিবিরের সঙ্গেও তাঁর দূরত্ব বাড়তে থাকে। তারপর কখনও নবান্ন গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ, তো কখনও ভাইফোঁটার দিন কালীঘাটে হাজির। এবারও যার ব্যতিক্রম হল না। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাহলে কি শোভনের তৃণমূলে ফেরা এবার স্রেফ সময়ের অপেক্ষা? জল্পনা উস্কে দিলেন বৈশাখী।
শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, "গত কয়েক বছরে দিদি আর শোভনের যে ভাল সম্পর্কটা দেখি, বলা হয় যে দূরত্ব মানুষের ফিলিংস কমিয়ে দেয়, সেটা যে কোনওভাবেই কমেনি, সেটা নিশ্চিত হই। আমি মনে করি, শোভনের রাজনৈতিক কেরিয়ারটা তো দিদির হাতে গড়া এবং ও দিদির কথা অনুযায়ী প্রত্যেক পদক্ষেপ নিয়েছে। যখন দিদি মনে করবেন, ওকে সক্রিয়ভাবে পশ্চিমবঙ্গে মানুষের প্রয়োজন, তখন নিশ্চয়ই সক্রিয় করবেন।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: South 24 Parganas: বিপদে থেকেছে পাশে, বাঁচিয়েছে প্রাণ; ম্যানগ্রোভ গাছের সঙ্গে সই পাতালেন মহিলারা