অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর, ভবানীপুরে মহারণ। চলছে প্রচার জোরকদমে। বাকযুদ্ধে অন্তত এক শিবির অন্য শিবিরকে টেক্কা দিচ্ছে। তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রতিদিনই প্রচারে নামছেন হেভিওয়েটরা। কোনওদিন ফিরহাদ হাকিম, কোনওদিন মদন মিত্র, মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে প্রচার করতে পৌঁছে যাচ্ছেন দুয়ারে দুয়ারে। 



মঙ্গলবারের পর বুধবার ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচার নামেন ফিরহাদ হাকিম। চেতলায় নিজের এলাকায় ঘরে ঘরে পৌঁছে যান ফিরহাদ। বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে চলছে প্রচার। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই লাগাতার প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল। এদিন বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকাল থেকে পথে নেমেছেন পরিবহণমন্ত্রী। যদিও তাঁর দাবি, ফল কী হতে চলেছে তা মানুষ জানে। তবু সকলকে অনুরোধ করছেন যেন, একদিন কাজে যাওয়ার আগে ভোটটা যেন সকাল সকাল দিয়ে দেন। ফিরহাদের গলায় আগাগোড়া শোনা গেল প্রত্যয়ী সুর। যদিও কত লিড টার্গেট রেখে তাঁরা এগোচ্ছেন, সেই প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন হালকা হাসিতে। বললেন, সেটা আপাতত মানুষের উপরই ছেড়ে দিচ্ছেন। 

অন্যদিকে, ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জয় বাংলা স্লোগান দেন এলাকার তৃণূল সমর্থকরা। বৃষ্টিভেজা সকালে এদিন ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজার থেকে প্রচার শুরু করেন প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। দেবেন্দ্র ঘোষ রোডে প্রচার চলাকালীন স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক তাঁকে দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জয় বাংলা স্লোগান দেন। এই প্রসঙ্গে ফিরহাদের প্রতিক্রিয়া, মানুষ কাকে সমর্থন করবেন, কী স্লোগান দেবেন, তা তো তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার। 

ফিরহাদ হাকিম (Fihad Hakim) বলেন, "আমরা মানুষের দরবারে যাব। মানুষ ভোট দেবে। মানুষ জিতবে। কুৎসা করা গণতন্ত্র নয়। আমার বিরুদ্ধেও কুৎসা করেছিল। কুৎসা মানুষ গ্রহণ করেন না।" 

নামে উপনির্বাচন। কিন্তু, উত্তাপ বিধানসভা নির্বাচনের থেকে এটুকু কম নয়। কারণ কেন্দ্রের নাম - ভবানীপুর। আর তৃণমূল প্রার্থীর নাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানাতে বিজেপি ময়দানে নামিয়েছে প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকে। আর সিপিএমের বাজি, তরুণ আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাস।