আবির দত্ত এবং অনির্বাণ বিশ্বাস, ভবানীপুর: হরিশ মুখার্জি রোডে (Harish Mukherjee Road) জোড়া খুন (Murder), ফ্ল্যাটে রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার। ভবানীপুরে (Bhowanipore) গুজরাতি (Gujrati) ব্যবসায়ী দম্পত্তির রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার। নিহত অশোক-রশ্মিতা শাহের শরীরে ধারাল অস্ত্রের আঘাত, খবর পুলিশ সূত্রে। ‘দরজা খোলা, ফ্ল্যাটের ভিতরে পড়ে দম্পতির রক্তাক্ত মৃতদেহ, ফ্ল্যাটের মধ্যে আলমারির দরজা খোলা, লুঠে বাধা, তাই কী দম্পতিকে খুন? একাধিক প্রশ্নের খোঁজে পুলিশ (Police)।
কী ঘটেছে বলে খবর?
ভবানীপুরে গুজরাতি ব্যবসায়ী অশোক শাহ (৫৬) এবং তাঁর স্ত্রী রশ্মিতা শাহের (৫২) রক্তাক্ত দেহ পাওয়া যায়। পরিবার সূত্রে খবর, সকাল থেকে ওই দম্পতির মেয়ে ফোন করে গেলেও ফোন না পেয়ে ছুটে এসে দেখেন বাড়ির মূল ফটক খোলা। দরজার কাছে মায়ের ও একটু ভিতরে বাবার রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন সে। এরপর সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ভবানীপুর থানায় গিয়ে খবরটি জানান। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যান ভবানীপুর থানার পুলিশ। গ্রাউন্ড ফ্লোরের ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, খুন করা হয়েছে দুজনকে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদেহে একাধিক ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ছোট মেয়ে কাজের সূত্রে আগেই বাইরে বেরিয়েছিলেন। বাড়িতে একা ছিলেন বয়স্ক দম্পতি। পুলিশ সূত্রে খবর, আরেক মেয়ে বারবার ফোন করেও বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। সন্দেহ হওয়ায় সন্ধে ৬ টা নাগাদ বাবার ফ্যাটে চলে আসেন তিনি। সদর দরজা খোলা দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। পুলিশ সূত্রে খবর, দরজা ঠেলতেই ভিতরে স্মিতা শাহের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন মেয়ে। ভিতরে বেডরুমের সামনে পড়েছিল অশোক শাহের মৃতদেহ।
আরও পড়ুন, 'কোচ-কামতাপুর ভূখণ্ডে পা রাখলে রক্তগঙ্গা বইবে', মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে হুমকি কেএলও প্রধানের
কোন জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে?
শহরের অত্যন্ত অভিজাত এলাকায় ঘটেছে এই ঘটনা। মিত্র ইনস্টিটিউশন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে হরিশ মুখার্জি রোড লাগোয়া তিয়াত্তর-এ ফ্ল্যাটে থাকতেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির অদূরে এই বাড়িটি অবস্থিত। এই এলাকার কাউন্সিলর হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভায়ের স্ত্রী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী কেন্দ্রে জোড়া খুনের ঘটনায় এলাকায় পৌঁছে যান পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার। এই ঘটনার খবর পেয়েই সেখানে গিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। গুলি চলেছে বলে শুনলাম, ঘটনাস্থলে গিয়ে জানালেন মেয়র। অন্যদিকে, নিহতদের শরীরে ধারাল অস্ত্রের আঘাত, দাবি কাউন্সিলরের।
এদিকে দেখা গিয়েছে বাড়ির গলিতে ঢোকার মুখেই রয়েছে দুটি সিসিটিভি ক্যামেরা। পুলিশের অনুমান সেখান থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে অপরাধী অবধি পৌঁছন সম্ভব। আনা হয়েছে স্নিফার ডগও। ওই বাড়ি থেকে ৪০০ মিটার দূরে গিয়ে থেমেছে স্নিফার ডগ। এদিকে, পুলিশ সূত্রে খবর ওই মহিলার হাতের বালা উধাও, অনুমান লুটপাটের জেরেই হয়তো এই খুন। ঘটনাস্থলে সিপি, অতিরিক্ত সিপি, যুগ্ম কমিশনার এসটিএফ।