দুর্গাপুর : রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার (Bengal Post Poll Violence) অভিযোগের তদন্তে তৃণমূলের ময়ূরেশ্বরের বিধায়ক (TMC Mayureshwar MLA) অভিজিত্‍ রায়কে প্রায় ৪৫ মিনিট জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের। তাঁকে দুর্গাপুরের সিবিআই ক্যাম্প ডেকে পাঠানো হয়। আজ সকাল সোওয়া ১০টা নাগাদ তিনি হাজির হন সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসে। অভিজিৎ রায় বেরিয়ে আসার পর ১১টা নাগাদ সিবিআই অফিসে ঢোকেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সহ সভাপতি আব্দুল মান্নান। তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ এখনও চলছে।


ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় এর আগে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তৃণমূলের ৩ বিধায়ক ও পূর্ব বর্ধমান এবং বীরভূমের শাসকদলের ব্লক স্তরের একাধিক নেতাকে। যে তিন তৃণমূল বিধায়ককে এর আগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন লাভপুরের বিধায়ক অভিজিত্‍ সিংহ, কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ ও বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস।


আরও পড়ুন ; খুনের দিন কেন ফোন অনুব্রতকে! ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় দুই বিধায়ককে সিবিআই জেরা


এই ইস্যুতে কটাক্ষ করেন মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, এটাই তো মুশকিল। সিবিআই ডাকছে, চা-সিঙাড়া খাওয়াচ্ছে, তারপর জিজ্ঞাসা করছে, কবে বিজেপিতে যোগ দেবেন। এটা অনেক পুরনো খেলা। আমি চাই, এদের ডাকুক এবং জমা রাখুক।


এর আগে শনিবার দুর্গাপুরে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে হাজিরা দেন লাভপুরের বিধায়ক অভিজিত্‍ সিংহ এবং কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ। সিবিআই সূত্রে খবর, ইলামবাজারের বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারের খুনের মামলায় হাজিরা দিতে বলে লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ককে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। জেলার রাজনীতিতে অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত দুই বিধায়ক। 


সিবিআই ক্যাম্পে হাজিরা দিতে এসে অভিজিৎ জানান, ‘‘আমাকে ফোন করা হয়েছিল। তার পর হোয়াটস্যাপ নম্বর চাইল, দিলাম। তাতে নোটিস পাই। তদন্তকারীরা ডেকেছেন, তাই এসেচি। কেন ডেকেছেন, কী বৃত্তান্ত জানি না। আমি একজন আইন মেনে চলা নাগরিক। তদন্তকারীরা ডেকেছেন, তাই এসেছি।’’