পার্থপ্রতিম ঘোষ ও অর্ণব মুখোপাধ্যায় : দম্পতিকে খুন করে ভবানীপুরের (Bhowanipore) মতো এলাকা থেকে কীভাবে পালিয়েছিল খুনিরা ? পুলিশ সূত্রে খবর, সম্ভবত ট্যাক্সি ধরে পালায় আততায়ীরা। নিহত দম্পতির (Couple) একটি মোবাইল ফোন ডালহৌসি চত্বর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।


ভরদুপুরে খুন। সকলের নজর এড়িয়ে উধাও আততায়ীরা। ভবানীপুরের চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের পর উঠে আসছে একাধিক তত্ত্ব। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, দুপুর দেড়টা থেকে ২টোর মধ্যে খুনের ঘটনা ঘটেছে।


স্থানীয়দের দাবি, ওই সময় এলাকা একেবারে শুনশান ছিল। কারণ, ওই দিনই হরিশ মুখার্জি রোডের অদূরে সূর্যকুমার চ্যাটার্জি স্ট্রিটে অসুস্থ হয়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়। দুপুরের দিকে সেখানেই ছিলেন পাড়ার লোকেরা। এমনকী নিহত শাহ-দম্পতির প্রতিবেশীরাও সেখানেই গেছিলেন। 


খুনের ঘটনার পর, পাশের নির্মীয়মাণ বহুতলের ঠিকাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তিনি জানান, আমাকে পুলিশ জিজ্ঞেস করছিল, যে তোমার ওখানে কোনও ট্যাক্সি আছে ? আশপাশে কোনও ট্যাক্সি আছে।


ঘটনার দিন, হরিশ পার্কের কাছে গিয়ে থেমে গেছিল পুলিশ কুকুর। এখানেই তদন্তকারীদের সন্দেহ, আততায়ীরা কি তাহলে ট্যাক্সি ধরে পালিয়ে গেছিল ? কারণ এই রাস্তায় কোনও বাস-অটো চলে না।


মঙ্গলবার রাতে, ডালহৌসি থেকে নিহত অশোক শাহর মোবাইল ফোনটি উদ্ধার হয়। তাহলে কি পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে ? নাকি মোবাইল সঙ্গে থাকলে পুলিশের কাছে ধরা পড়ে যাবে সেই ভয়ে ডালহৌসি চত্বরে ফোন ফেলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা ? 


ইতিমধ্যেই শতাধিক CC ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সন্দেহভাজনদের ছবি দেখিয়ে পরিবারের সদস্যদের থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।


এদিকে আজ ভবানীপুরে নিহত দম্পতির বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী। কথা বললেন শাহ দম্পতির দুই মেয়ের সঙ্গে। মমতার সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন দুই মেয়ে। 


পরে মমতা বলেন, "আমি খুব বিস্মিত। শুধু আমি নই, হরিশ মুখার্জি রোড, মুক্তদল, কালীঘাট রোড, আমাদের পাড়ার বিশেষ করে সকলে...কারণ এই রাস্তা দিয়ে আমরা রোজ যাতায়াত করি। আমি চাই, এলাকাটা শান্ত ছিল, শান্তই থাকবে, আর যারা বাইরে থেকে এসে, এসব বদমায়েশি করার চেষ্টা করছে, তাদের কোনওভাবে করতে দেওয়া হবে না এবং তাদের সঙ্গে যাদের যোগাযোগ আছে, তাদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। সবটাই যখন চিহ্নিত করতে পেরেছে, ৯৯ শতাংশ, আশা করি ওরা পেয়ে যাবে। পরিচিত কেউ ছাড়া এমন ঘটনা ঘটানো যায় না। সব ধর্মের মানুষ ভবানীপুরে একসঙ্গে থাকেন। ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে খুন। খুনের পিছনে আত্মীয়র হাত থাকতে পারে। "