নয়াদিল্লি: তীব্র গরমে দুপুরে ঘরে থাকাই দায়। সেখানে কিনা একরত্তিকে হাত-পা বেঁধে ছাদে ফেলে রাখা! ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তোলপাড় রাজধানীতে (Child Abuse)। হোমওয়র্ক না করায় মেয়েকে ‘শাস্তি’ দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন শিশুটির মা। পুলিশের তরফে কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে (Delhi News)। 


একরত্তি মেয়ের প্রতি নির্দয় আচরণ


সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি ভাইরাল হয়। কিছুটা দূর থেকে তোলা ভিডিওটিতে দেখা যায়, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গরম ছাদে শুইয়ে রাখা হয়েছে এক শিশুকে। তপ্ত ছাদের ছোঁয়া থেকে বাঁচতে ধনুকের মতো বেঁকে গিয়েছে সে। রোদে পুড়তে পুড়তে কখনও বাঁয়ে, কখনও ডাঁয়ে উল্টোনোর চেষ্টা করছে। সেই সঙ্গে একটানা কেঁদে চলেছে সে। বাঁধন খুলে দেওয়ার কাতর অনুরোধ জানাচ্ছে (Domestic Abuse)। 



গত ২ জুন ২৫ সেকেন্ডের ভিডিওটি প্রথম সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। সেটি করওয়াল নগর এলাকার ঘটনা বলে প্রথমে দাবি করা হয়। ভিডিওটি দেখে শিউরে ওঠেন নেট দুনিয়ার মানুষ জন। দিল্লি পুলিশকে ভিডিওটিতে ট্যাগ করতে শুরু করেন অনেকে। খোঁজ নিয়ে বাচ্চাটি নিরাপদে রয়েছে কিনা, দেখার আর্জি জানান। 


বিষয়টি চোখে পড়তে তৎপর হয় পুলিশ। কিন্তু করওয়াল নগরে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি বেল জানতে পারে তারা। এর পর খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনাটি আসলে খাজুরি খাস এলাকার।খোঁজ নিয়ে ওই বাড়িতে পৌঁছতে জানা যায়, হোমওয়র্ক সম্পূর্ণ না করায় শাস্তিস্বরূপ ছ’বছরের মেয়েটিকে হাত-পা বেঁধে গরম ছাদে ফেলে রাখার সিদ্ধান্ত নেন তার মা।  


আরও পড়ুন: Agartala News: পড়ে থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ, হাসপাতালে মজুত কোভিড টিকা গেল ডাস্টবিনে, কাঠগড়ায় ত্রিপুরা সরকার


দুপুর ২টো নাগাদ পড়শি এক মহিলা ওই অবস্থায় শিশুটিকে ক্যামেরাবন্দি করেন। তা নিয়ে প্রশ্ন করলে মেয়েটির মা পুলিশকে যুক্তি দেন, স্কুলের দেওয়া হোমওয়র্ক না করায় নিজের মেয়েকে শাস্তি দিয়েছেন তিনি। বেশি ক্ষণ নয়, ৫-৭ মিনিটই ছাদে ফেলে রেখেছিলেন। 



কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস পুলিশের


ওই পরিবারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। কিন্তু শিশুটির উপর এমন নির্দয় আচরণের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত বলে দাবি তুলেছেন নেট দুনিয়ার একাংশ। তাঁদের দাবি, এমন নির্দয় আচরণের পরও শিশুটির মা নির্বিকার। নিজের মেয়েকে শাস্তি দিতেই পাবেন বলে যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁকেও ওই ভাবে হাত-পা বেঁধে রোদে ফেলে রাখা উচিত বলে দাবি তুলেছেন অনেকে। যদিও আইনি পথেই পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।