কলকাতা: গোড়া থেকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লডা়ই করেছেন এক জন। অন্য় জন মাঝখানে সঙ্গ ছাড়লেও, ঘরের ছেলে হয়ে ফিরে এসেছেন দলে। কিন্তু বিধাননগরে (Bidhannagar Municipal Election 2022) শেষ পর্যন্ত কার উপর আস্থা রাখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)! তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী তালিকায়  কৃষ্ণা চক্রবর্তী (Krishna Chakraborty) এবং সব্যসাচী দত্তের (Sabyasachi Dutta) নাম প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সেই জল্পনা আরও জিইয়ে রাখলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দিলেন উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে এস নিয়ে আলোচনা করবেন দলের সঙ্গে। তার পরেই সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। 


সোমবার ভোটগণনায় রাজ্যের বকেয়া পৌরসভাগুলিতেও সবুজ ঝড়ের সম্ভাবনা জোরাল হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ফোনে এবিপি আনন্দের সঙ্গে কথা বলেন মমতা। সেখানেি তিনি জানিয়ে দেন যে, দল এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এ দিন মমতা বলেন, ‘‘মেয়র কে হবেন, এ সব কথা এখন না ওঠাই ভাল। আমাদের দলে এ ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না। দল সকলের সঙ্গে কথা বলবে।  সকলের মতামত নেবে। তার পর সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।’’


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: "যোগী নয় ভোগী, মানুষ বাঁচানোর জন্য উত্তরপ্রদেশে গিয়েছি", পাল্টা জবাব মমতার


এ দিন বিধাননগরে ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ইতিমধ্য়েই জয়ী হয়েছেন সব্যসাচী। বিজেপি থেকে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের পর এই জয়ে দলে নিজেকে কার্যত পুরনো জাগয়া প্রতিষ্ঠিত করলেন তিনি। তবে তাঁকে মেয়র করা হবে কি না, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান না সব্যসাচী। তিনি জানিয়েছেন, এই জয়ের শ্রেয় পুরোপুরি মমতার। তিনিই মেয়র ঠিক করবেন। এমনকি চেয়ারে যে-ই বসুন, মমতাই মেয়র বলেও মন্তব্য করেন সব্যসাচী। 


অন্য দিকে, সব্যসাচীর অনুপস্থিতিতে বিধাননগরকে আগলে রেখেছিলেন যিনি, সেই কৃষ্ণা জানান, দলনেত্রী যদি পতাকা হাতে নিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়াতে বলেন, তাতেও রাজি তিনি। মমতা যে সিদ্ধান্ত নেবেন। তা-ই শিরোধার্য করবেন তিনি। 


কৃষ্ণার এই মন্তব্যর কথা জানালে মমতা বলেন, ‘‘জানি তো আমি! কৃষ্ণা আমার চিরকালের সঙ্গী। ১৯৮৪ সালে আমি যখন যাদপুর থেকে সাংসদ হই, ও তখন আমার সঙ্গে ছিল। আমরা একসঙ্গে রান্না করতাম। আমার বাড়ি থেকে প্রেম করে বিয়ে করেছে ও।’’


কিন্তু সব্যসাচী অথবা কৃষ্ণা, দু’জনের একজনকে বেছে নিলে দলের অন্দরে দ্বন্দ্ব দেখা দেবে না তো! সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘ওরা খুব ভাল। কারও বিরুদ্ধে, কারও কোনও বিদ্বেষ নেই। উষ্মা নেই। আমিও বলব, সকলে যেন একসঙ্গে কাজ করি। বিধাননগরের মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র কে হবেন, তা দলই ঠিক করবে। উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে এ নিয়ে কথা বলব আমি। তার পর সিদ্ধান্ত।’’