কলকাতা: উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরকে সোমবার কটাক্ষ করেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। যোগীর কথায়, বাংলা থেকে উত্তরপ্রদেশে এসে অরাজকতা তৈরির কথা বলছেন। আর এদিন এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ কথোপকথনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পাল্টা তোপ দেগেছেন। 


কী জানালেন মুখ্যমন্ত্রী? 


উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন ও যোগীর মন্তব্য নিয়ে মমতা বলেন, "আমার বিষয়ে সকলকে সাবধান করছেন মানে তিনি কতটা ভীত। কতটা সন্ত্রস্ত। উনি নিজেকে যোগী বললেও আসলে যোগী নন। আসলে তো ভোগী। উত্তরপ্রদেশে যারা এনআরসি নিয়ে আন্দোলন করেছে তাঁদের জরিমানা নেওয়া হয়েছে। ওখানে বেটি পড়াও, বেটি বাঁচাও এর নামে বেটি ভাগাও হচ্ছে। মেয়েদের জলন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। যে কোনও ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে সরকার কোনওরকম পদক্ষেপ নিচ্ছে কি না তা গুরুত্বপূর্ণ। সব সরকারের হাতে থাকে না । কিন্তু কৃষকরা আন্দোলন করছে সেখানে মন্ত্রীর ছেলে গিয়ে গাড়ি চালিয়ে দিল। কৃষক হত্যার কী বিচার পেয়েছে উত্তরপ্রদেশের মানুষ। অখিলেশের আমন্ত্রণে সেখানে গিয়েছিলাম। পাঞ্জাবি, জাট, দলিত, ঠাকুর, ব্রাক্ষণ সকলেই ছিলেন। আমি কিন্তু ওখানে কিন্তু ভোটে লড়াই করিনি। আর যোগী এখানে বিজেপির হয়ে লড়াই করে প্রচার করেছিলেন। আমি মানুষ বাঁচানোর জন্য উত্তরপ্রদেশে গিয়েছি। উত্তরপ্রদেশ বাঁচলে দেশ বাঁচবে। আমি চাই না অখিলেশ কোনও জায়গায় দুর্বল হোক। প্রথম দফার নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে ৫৭ আসনে মধ্যে ৩৭ আসন পাবে।" 


প্রসঙ্গত, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরপ্রদেশ সফর নিয়ে কটাক্ষ করেছেন যোগী। নাম না করেই তোপ দেগে তিনি বলেন, "যিনি বাংলা থেকে উত্তরপ্রদেশে এসে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করছেন। আমি জনতা জনাদর্নকে সাবধান করে দিচ্ছি ওঁর বিষয়ে। আমি উত্তরপ্রদেশবাসীকে বলব, যে শান্তি, যে সম্মান আপনারা পেয়েছেন তা শেষ করে এবার সিঁধ কাটছেন অনেকেই। উত্তরপ্রদেশকে ফের অশান্ত করার চেষ্টা করবেন তাঁরা।"  গত ৮ ফেব্রুয়ারি লখনউয়ে গিয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে যোগী আদিত্যনাথকে নিশানা করেন তৃণমূল নেত্রী। সেই প্রসঙ্গেই যোগী আদিত্যনাথের মন্তব্য, উত্তরপ্রদেশে শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে। অথচ এরা বাংলা থেকে এসে অরাজকতা সৃষ্টির কথা বলছে। এর জন্যই মানুষকে সাবধান করা প্রয়োজন। গত বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশে প্রথম দফা ভোটের দিনও যোগী আদিত্যনাথ টেনে আনেন বাংলা-কেরল ও কাশ্মীরের প্রসঙ্গ। যে মন্তব্য ঘিরে দানা বাধে বিতর্ক। প্রতিবাদ জানিয়েছিল তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেস।