ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: ট্যাব কেলেঙ্কারির (Tab Scam) এপিসেন্টার উত্তর দিনাজপুর হলেও নিয়ন্ত্রিত হয়েছে কেন্দ্রীয় ভাবেই। বিকাশ ভবনে তথ্য যাচাই করে অনুমান পুলিশের। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ফ্লো চার্ট।
ট্যাব কেলেঙ্কারির এপিসেন্টার উত্তর দিনাজপুর। কিন্তু তা পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়েছে কেন্দ্রীয়ভাবে। কেলেঙ্কারির তথ্য যাচাই করে এমনটাই মনে করছে লালবাজার। গতকাল কলকাতা পুলিশে একটি দল বিকাশ ভবনে যায়। সঙ্গে ছিলেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। ট্যাবের টাকা পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ার ফ্লো চার্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফ্লো চার্ট অনুযায়ী, নীচের ধাপে পড়ুয়ারা, তার ওপরের ধাপে স্কুল কর্তৃপক্ষ, তার ওপর স্কুল পরিদর্শক,
তার মাথায় শিক্ষা দফতর, এরপর অর্থ দফতর এবং সবশেষে ট্রেজারি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এর বাইরে কারও পক্ষে সরকারি পোর্টালে ঢোকার অ্যাকসেস পাওয়া সম্ভব নয়। তবে কি সর্ষের মধ্যেই ভূত রয়েছে? পুলিশ জানতে চায়, কোনও থার্ড পার্টি বা এজেন্সিকে ডেটা এন্ট্রির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কি না। প্রয়োজনে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।
এদিকে বীরভূমের কীর্ণাহারে এবার নাম বিভ্রাটের জেরে ট্যাব কেলেঙ্কারি। একজনের টাকা ঢুকেছে ওই নামেরই ৩ বছর আগের স্কুুলছুট ছাত্রীর অ্যাকাউন্টে। কীর্ণাহার তারাপদ মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী অভিযোগ জানায়, সে ট্যাবের টাকা পায়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, ওই টাকা ঢুকেছে একই নামের ২০২১ সালের একাদশ শ্রেণির স্কুলছুট ছাত্রীর অ্যাকাউন্টে। সেই ছাত্রী বর্তমানে বিবাহিত। তাঁর অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ গতকাল পুলিশ নিয়ে বাড়িতে আসে। ছাত্রীর বাবাকে ব্যাঙ্কে নিয়ে গিয়ে টাকা উদ্ধার করে। এতে তাদের সম্মানহানি হয়েছে বলে দাবি করেছে স্কুলছুট ছাত্রীর পরিবার। ট্যাবের টাকা ফেরত পাওয়া ছাত্রী এই গন্ডগোলের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেছে। স্কুলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Madan Mitra: চোর যেখানেই যাবে, চুরি করবে; করছে দলের মধ্যেই কিছু: মদন মিত্র