কলকাতা: এসএসসি দুর্নীতি মামলা-সহ রাজ্যের একাধিক মামলায় গ্রেফতার রাজ্যের শাসকদলের হেভিওয়েটরা। বাইরে বেরিয়ে এসেছিল বিপুল পরিমাণে অর্থ নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ। নম্বর কম পেয়েও রাজ্যের মন্ত্রী কন্যার চাকরি ইস্যু। ইতিমধ্যেই এই সব অভিযোগের ইস্যুতেই হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তের পর কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ইডি-সিবিআই। এদিকে এসএসসি মামলায় গ্রেফতার হওয়ায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় দল তথা মুখ্যমন্ত্রীর কোনও সাপোর্টই পাননি। মমতার সাপোর্টে শুধুই অনুব্রত মন্ডল। এদিকে ঘাসফুলের নেতা-মন্ত্রীর মাথার উপর এখনও ঘুরছে একাধিক মামলা। কিন্তু চাপ বাড়াচ্ছে  এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। এহেন মুহূর্তেই এদিন  নেতাজি ইন্ডোরে আজ তৃণমূলের বিশেষ সাংগঠনিক অধিবেশনে ফের বিস্ফোরক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'এজেন্সি চাই না,  চাকরি চাই।'


মমতা এদিন বলেন,' তৃণমূল কংগ্রেসে টিকিট পেতে লবি করতে হয় না। যে কাজ করবে তাঁকে দল খুঁজে নেবে। পুজোর পর থেকে আবার দলীয় কর্মসূচি শুরু হবে। কোনও বিধায়ক লেটারহেডে চাকরির অনুরোধ করবেন না। মুখে কথা বলুন, ফোনেও সব বলবেন না। জেলায় জেলায় আইবি-র লোকেরা বিজেপির।’ এরপরেই এদিন তিনি বলেন, 'এজেন্সি চাই না,  চাকরি চাই।' প্রসঙ্গত, বাংলার একের পর এক মামলায় তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর এই অধিকাংশ মামলাতেই তদন্তে হাইকোর্টের নির্দেশে  কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যেখানে নাম জড়িয়েছে একাধিক তৃণমূল নেতা-বিধায়কের। গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত, পার্থ। উল্লেখ্য ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিনও মমতা ক্ষোভ উগরে দেন চাকরি ইস্যুতেই। উল্লেখ্য, একদিকে 'পাশ করেও চাকরি নেই', অন্যদিকে 'পরীক্ষা না দিয়েও চাকরি' , এমন অভিযোগে যখন ঝাঁঝরা শাসকদল, ঠিক তখনই আজ শিক্ষক দিবসের দিনেও প্রশ্নবাণ নিক্ষেপ করলেন তিনি। শিক্ষারত্ন সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানে স্পষ্ট জানান, 'আমরা কারও চাকরি খাইনি।'


আরও দেখুন, ‘মেয়েকে মানসিক চাপ দিচ্ছে সিআইডি', সারদাকাণ্ডে সিবিআইকে চিঠি দেবযানীর মায়ের


বাম আমলের প্রসঙ্গ টেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কয়েকটা ছেলে -মেয়ে বসেছিল রাস্তায়, আমার সঙ্গে দেখা হয়েছিল, আমি বলেছিলাম তখন, এদের কয়েকজনকে করে দিন। তখনকার এডুকেশন মিনিস্টার আমাকে বলেছিলেন, যে এদের নাম্বার পারমিট করছে না। আমার আবার একটু দয়ামায়া বেশি। আমি বলেছিলাম, দিন না একটু, করে দিন না, বাচ্চা বাচ্চা ছেলে মেয়ে কী আর হবে ? তারপরেও, আপারা জানেন অনেক ডিপার্টমেন্ট আছে, সিপিএম চলে গেলেও যে, অত্যাচার আমাদের সঙ্গে করেছে, আমরা তো কারও চাকরি খাইনি। সিপিএম আমলের একটা কাগজ খুঁজে পানতো আলমারিতে, একটা কাগজও পাবেন না। আমাদের আমলে কাগজ আছে। কাগজ আছে বলেই তো আপনি ভুলটা ধরতে পারছেন।' এরপরেই মুখ্যন্ত্রী হাত মুঠো করে অগ্নিশর্মা হয়ে বলেন,' ওদের আমলে একটাও কাগজ নেই। আমরা খুঁজে পাইনি, আমরা ফাইল পাইনি, আমরা আলমারি পাইনি, আমরা কিছু দেখতে পায়নি।'