ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম : চিকিৎসার গাফিলতিতে (negligance in treatment) কলেজ ছাত্র মৃত্যুর অভিযোগ, বোলপুরে বেসরকারি হাসপাতালে (Bolpur Nursing Home) ভাঙচুর চালালেন মৃতের পরিজনরা। ভেঙে ফেলা হয় দরজার কাচ। যদিও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, সঙ্কটজনক অবস্থায় রোগীকে আনা হয়েছিল।


চিকিৎসায় গাফিলতি !


মাত্র ৭ ঘণ্টায়, অকালে শেষ হয়ে গেল এক কলেজ পড়ুয়ার জীবন। ফের চিকিৎসার গাফিলতিতে উঠল রোগী মৃত্যুর অভিযোগ। প্রতিবাদে, বীরভূমের বোলপুরে বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালালেন মৃতের পরিজনেরা। মৃত রোগীর বাবা সাজেদ আলি মণ্ডল বলেছেন, 'বিনা চিকিৎসায়, বিনা ট্রিটমেন্টে, গাফিলতি, কেন নিজেদের ত্রুটি স্বীকার করছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ?'


রেফার রোগ !


মৃত ইমদাদুল হক (২৩)।  ইলামবাজারের পাইকুনি গ্রামের বাসিন্দা। হেতমপুর কলেজের তৃতীয় বর্ষের ওই পড়ুয়াকে, বুকে যন্ত্রণার সমস্যা নিয়ে, মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ, প্রথমে ইলামবাজার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে রেফার করা হয় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। কিন্তু যুবকের অবস্থার অবনতি হওয়ায়, রাত ১১টা নাগাদ তাঁকে বোলপুরের অনন্যা মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করান পরিবারের লোকজন। কিন্তু বুধবার ভোর ৫টা নাগাদ সেখানেই মৃত্যু হয় কলেজ পড়ুয়ার। মৃত করলেজ পড়ুয়ার বাবার কথায়, 'আমি সেই ৫টা থেকে দেখছি, তোমাদের ডাক্তার নেই, কেন বললে না, ফুলের মতো জীবনটা ফিরিয়ে দাও, আমি বাইরে পড়ে ছিলাম, অবিলম্বে আমি আমার উত্তর চাই।'


হাসপাতাল ভাঙচুর


রোগীর মৃত্যুর জন্য চিকিৎসার গাফিলতিতে দায়ী করে, হাসপাতালে চড়াও হন মৃতের পরিজনরা। ভাঙচুর করা হয় কাচের দরজা। যদিও চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ মেনে নিতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বোলপুরের অনন্যা মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালের মালিক  অবনী মণ্ডল বলেছেন, 'পেসেন্ট যখন এনেছিল খুব খারাপ অবস্থায় ছিল, পেসার লেভেল এমন জায়গায় ছিল, যে কোনও সময়ে মৃত্যু হত, এইচডিইউ-তে ভর্তি নেওয়া হয়েছিল, বলা হয়েছিল মৃত্যু হতে পারে। কিন্তু ওরা সই করেছিল, দু-জন চিকিৎসকের উপস্থিত ছিলেন। আজ ভোরে মৃত্যু হয়, সকালে এসে দেখি ভাঙচুর করছেন।' অবশেষে পুলিশ হাসপাতালে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।


আরও পড়ুন- 'কার নির্দেশে অবৈধদের জন্য শূন্যপদে চাকরিতে কোর্টে আবেদন কমিশনের?’ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
'