ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম : বীরভূমের (Birbhum) মল্লারপুরে স্ত্রীর মাথায় হাতুড়ি মেরে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। খুনের পর বস্তায় ভরে রাখা হয়ে ছিল মৃতদেহ। বাড়ি থেকে রক্তাক্ত মৃতদেহটি উদ্ধার করে মল্লারপুর থানার পুলিশ (Mallarpur Police Station) । ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত স্বামীকে শেষমেশ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃতার শাশুড়ি ও ননদকে পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ঠিক কী কারণে খুন, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। ধৃত স্বামীর দাবি, বারণ সত্বেও অন্য একজনে ফোন করায় রাগের মাথায় হাতুড়ি মেরে স্ত্রীকে খুন করেছে সে।
ধরা পড়ার পরে খুনের কথা স্বীকার করেছেন স্বামী। বুধবার বিকেলে মল্লারপুর থানার সোজ গ্রামে তাঁর স্ত্রীর বস্তাবন্দী মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তারপর থেকে স্বামী সুফল মন্ডল নিখোঁজ ছিলেন। গতকাল রাত্রে তিনি নিজেই থানায় আত্মসমর্পণ করেন। বৃহস্পতিবার তাঁকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। আদালতে ঢোকার সময়ধৃত স্বামী সুফল মন্ডল বলেন, তার স্ত্রী অন্য একজনকে ফোন করত। নিষেধ করার পরেও সে শোনেনি। তাই রাগ সামলাতে না পেরে হাতুড়ি দিয়ে মেরে বস্তায় ভরে দিয়ে ছিলাম। এরপর সন্ধ্যা লাগলে থানায় নিয়ে গিয়ে যেতাম।
কয়েকদিন ধরে ওই মহিলাকে এলাকায় দেখতে না পাওয়া যাওয়ায় সন্দেহ হয়েছিল এলাকাবাসীদের। পরে পুলিশ এসে দেখে ভয়ঙ্কর দৃশ্য। ঘরের দাওয়ার পাশে পড়ে থাকা বস্তা দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। যার পাশেই দেখা যায় রক্তের দাগ। তারপর বস্তা খুলতেই উদ্ধার হয় ওই মহিলার রক্তাক্ত দেহ। যারপর পুলিশ দেহ অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে পাঠায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করছে পুলিশ।
কিছুদিন আগেই একইরকম চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা ঘটেছিল শিলিগুড়িতে। সেখানেও স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করেছিল স্বামী। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের কোকরাজোত গ্রাম এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই নাকি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিবাদ চলছিল, যার জেরেই হয়েছিল মর্মান্তিক পরিণতি ঘটেছিল। যার কিছুটা আগেই বস্তাবন্দি এক মহিলার মৃতদেহ (Womens Dead Body) উদ্ধার ঘিরে পশ্চিম মেদিনীপুর (West Midnapore) জেলার খড়গপুর লোকাল থানার (Kharagpur Local Police Station) অন্তর্গত সাঁকোয়া এলাকায় প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন