গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: ফের এক বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম ইন্দ্রজিৎ সূত্রধর। এই মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে খয়রাশোলের হযরতপুর গ্রামে।
ঠিক কী অভিযোগ? মঙ্গলবার সকালে হযরতপুর গ্রামে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি চৌকাঠে হাত-পা বাঁধা এবং গলায় গামছা বাঁধা ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে খয়রাশোল থানার পুলিশ। পুলিশের অনুমান ওই বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বিবাহ বহির্ভূত কোনও কারণে এই খুন হয়ে থাকতে পারে।
এদিকে, এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, তৃণমূলের নেতারা আমাদের এই কর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে। এমনকী মৃতের পরিবারের তরফেও খয়রাশোল থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাঁদের তরফে বলা হয়েছে ওই কর্মী আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারে। কে বা কারা এই খুন করেছে সেই সত্য প্রকাশের জন্য পুলিশি তদন্তের উপর বিশ্বাস রাখছেন তারা, এমনটাই খবর।
বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। একাধিক জায়গায় বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় বছর পঞ্চান্নর এক বিজেপি কর্মীর দেহ।
জানা গিয়েছিল, বিষ্ণুপুরে বিজেপির বুথ কর্মী ছিলেন তিনি। সেক্ষেত্রেও পরিবারের তরফে রাজনৈতিক বিদ্বেষের অভিযোগ তুলে থানায় খুনের এফআইআর করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, ভোটের আগে রাজনৈতিক হত্যায় দেশের মধ্যে শীর্ষে বাংলা, সাংবাদিক বৈঠকে এভাবেই অভিযোগ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, 'রাজনৈতিক কর্মীদের হত্যার নিরিখে দেশে ওপরের দিকে বাংলা। গত আড়াই বছরে বিজেপির শতাধিক কর্মী এখানে খুন হয়েছেন। আমি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর থেকে জানতে চাই আপনি এব্যাপারে কিছু বলতে চান? পরিস্থিতি স্পষ্ট করতে চান?' তার প্রশ্ন, 'কত লোকের হত্যা হবে? বিজেপি কর্মী হোক বা কম্যুনিস্ট পার্টির লোক, কংগ্রেসের হোক বা আরটিআই কর্মী, কত লোক আর খুন হবে?'