ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: জেলমুক্তির পর বাড়ি ফেরার ৬ দিনের মাথায় কঙ্কালীতলার মন্দিরে পুজো দিতে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। কান্নায় ভাঙলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি।
কান্নায় ভাঙলেন অনুব্রত: কঙ্কালীতলার মন্দিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার পরিবারের সদস্যদের নাম পুজো দিলেন অনুব্রতব মণ্ডল এবং তার মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। রবিবার সকালে তিনি তাঁর বোলপুরের বাড়ি থেকে কঙ্কালীতলায় যান। আর এদিন মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। পুজো দিয়ে অনুব্রত মণ্ডল জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কঙ্কালীতলা, ফুল্লরা, তারাপীঠ, পাথরচাপুড়িতে টাকা দিয়ে ছিলেন। উন্নয়ন যা বাকি আছে তা দীপাবলির পরে করে দেওয়া হবে।
গতরাতে সোমবার রাতে ১৮ মাস পর তিহাড় থেকে বেরোন অনুব্রত মণ্ডল। মঙ্গলবার ভোর ৫.২০ টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বীরভূমের উদ্দেশে রওনা দেন অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর মেয়ে সুকন্য়া মণ্ডল। ওই দিন সকালে বোলপুরের নিচুপট্টিতে নিজের বাড়িতে ফেরেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। অনুব্রতর বাড়িতে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। বাড়ির বাইরে জড়ো হয়েছেন জেলা থেকে আসা বহু কর্মী-সমর্থকরা। নিজের গড়ে ফেরার পর প্রশ্ন ওঠে তাহলে কবে রাজনীতির ময়দানে ফিরছেন তিনি? সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে নেমে পড়়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। বৃহস্পতিবার বোলপুরে জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে গিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ করেন বৈঠক। সাংবাদিক বৈঠক করে জানান কালীপুজোর পর তিনি যাবেন ব্লকে ব্লকে।
বরবারই তৃণমূলের দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট গরুপাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। প্রথমে কয়েকমাস আসানসোল জেল, তারপর ২০২৩ সালের মার্চ থেকে দিল্লির তিহাড় জেল মিলিয়ে প্রায় দু'বছর বন্দি ছিলেন। তবে বীরভূমের জেলা সভাপতির পদ থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে সরাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্টে বারবার অনুব্রতর পাশে থেকে বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়-সহ তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ব। আর এবার সেই নেতৃত্বের জন্য মন্দিরে পুজো দিলেন অনুব্রত মণ্ডল।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Durga Puja 2024: চারদিনেই 'শিরদাঁড়া ভাঙল', উৎসবের আগেই সরল মেরুদণ্ড