ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: টানা বৃষ্টির প্রবল প্রভাব পড়েছে তারাপীঠ (Tarapith) মহাশ্মশানে। দিনকয়েক ধরেই বৃষ্টি চলছে। এর ফলে দ্বারকা নদীর জলস্তর বেড়েছে অনেকটাই। আর এবার দ্বারকা নদীর জল ছাপিয়ে ঢুকে পড়ল তারাপীঠ মহা শ্মশানে।
লাগাতার বৃষ্টিতে দ্বারোকা নদীর জল বাড়তে থাকে। শনিবার সকালে নদীর দুই কূল ছাপিয়ে মহা শ্মশানে জল ঢুকে পড়তে শুরু করেছে। যে অংশ জলমগ্ন, সেখানে দাহকাজ বন্ধ রয়েছে। শ্মশানের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় এক কোমর সমান জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। শনিবার আপাতত দেহ সৎকারের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। যদিও শ্মশান কর্তৃপক্ষর তরফে জানানো হয়েছে, দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
এদিকে আজ শনিবারে অমাবস্যাও রয়েছে। শ্রাবণ মাসের এই অমাবস্যায় তারাপীঠ মহাশ্মশানে সাধুদের ভিড়ও বাড়ে। রাতভর বৃষ্টির জেরে জল ঢুকে পড়ায় সেখানে যজ্ঞ বা পুজো কিছুই করা যাবে না বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, প্রবল বৃষ্টিতে বীরভূমের বোলপুরের কঙ্কালিতলা মন্দিরের গর্ভগৃহে জল ঢুকেছিল। আজ সেই জল নেমে গেলেও, এখনও মন্দির চত্বর জলমগ্ন। মন্দিরে ঢুকেছে কোপাই নদীর জল। পুজো দেওয়া আপাতত বন্ধ। এই মন্দিরে প্রচুর পর্যটক আসেন। পুজো দিতে না পারায় আক্ষেপ নিয়েই ফিরছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন, রাশিচক্রে ঘুরবে বুধ, এই ৩ রাশিকে করবে ধনী, দেবে কেরিয়ারে সাফল্য
অন্যদিকে, কুয়ে নদীর জলে ভাসছে লাভপুরের ঠিবা গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রাম। সেতু ডুবে যাওয়ায় বিভিন্ন গ্রামের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। একাধিক জায়গায় কুয়ে নদীর বাঁধে ফাটল ধরেছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে মেরামতি। ইলামবাজারের গোল্টে গ্রামের কাছে শাল নদীর জল সেতুর ওপর দিয়ে বওয়ায় পাড়ুই যাওয়ার রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বীরভূমের সাঁইথিয়ায় ময়ূরাক্ষী নদীর ওপর ২টি অস্থায়ী সেতু জলের তলায়। ঝুঁকি নিয়ে, বিপজ্জনকভাবে রেলসেতু ধরে যাতায়াত করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর ফলে বোলপুর-রামপুরহাট, সাঁইথিয়া ও বহরমপুরের মধ্যে যান চলাচল বন্ধ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে