কলকাতা: বর্ষা বাড়তেই রাজ্যে মাথাচাড়া দিচ্ছে ডেঙ্গি প্রকোপ। একমাসে রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলেন ৮৩৩ জন। ২৪ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ১৬১ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গি আক্রান্ত মালদায়, ৩১৩ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৩০৫ জন। মুর্শিদাবাদে মোট আক্রান্ত ২৫৭ জন, হুগলিতে ১৯৯ জন। পঞ্চম স্থানে রয়েছে কলকাতা। শহরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ১৯২ জন। (Kolkata Dengue Updates)


বছর বছর রাজ্যে ডেঙ্গির প্রকোপ অব্যাহত। সেই নিয়ে সচেতনতা অভিযান চালিয়েও পরিস্থিতি বদলায়নি। গত বছর রাজ্যে ১২ বছরের রেকর্ড ভেঙে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৭ হাজার। এই বছরও কি পরিস্থিতি সেই দিকেই যাবে? চিন্তায় স্বাস্থ্য দফতর। এমনিতেই এই মুহূর্তে রাজ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জার দাপট বাড়ছে। পাশাপাশি, ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। (Kolkata News)


ডেঙ্গি মোকাবিলায় তৎপরতা শুরু হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের মধ্যে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে বেড়ে চলেছে, তা রীতিমতো উদ্বেগজনক। শহর এবং শহরতলি, দুই জায়গার পরিসংখ্যানই উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ইতিমধ্যেই। 


আরও পড়ুন: Digha Train Time Change : গতকালের পর আজও বদলে গেল দিঘা যাওয়ার একগুচ্ছ ট্রেনের সময়সূচি !


ডেঙ্গি মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। শহরের বড় বড় আবাসনগুলিকে চিঠি পাঠানো হচ্ছে।  আবাসনগুলিতে কোথাও জল জমছে কিনা, তা ঘুরে দেখবেন পুরকর্মীরা। প্রয়োজনে জরিমানা করা হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। 


শহরের বেশ কিছু বড় আবাসনে ইতিমধ্যেই চিঠি পৌঁছে গিয়েছে। আবাসনের ছাদ, জলের ট্য়াঙ্ক কিম্বা বারান্দায় রাখা ফুলের টব, কোথাও জল জমছে কিনা, খতিয়ে দেখবেন পুরকর্মীরা। অব্যবস্থা চোখে পড়লে রিপোর্ট জমা দেবেন পুরকর্মীরা। সেই মতো প্রথমে নোটিস দেওয়া হবে। তাতেও কাজ না হলে পুর কোর্টে তোলা হবে। সেখানে মোটা টাকার জরিমানাও করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন অতীন।


ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে আগামী ৮ অগাস্ট বৈঠকে বসছে কলকাতা পুরসভা। সেই বৈঠকে কেন্দ্র-রাজ্য় উভয়ের সমন্বয়ে মশাবাহিত রোগ নিধনে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অতীন। তবে ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার প্রকোপ গত বছরের তুলনায় কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছে পুরসভা। বলা হয়েছে, গতবারের তুলনায় এবছর ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ শতাংশ কম, ম্যালেরিয়া ৫৩ শতাংশ কম।