নান্টু পাল, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও বিশ্বজিত্‍ দাস, বীরভূম: সকলকেই কাটমানি না খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। কিন্তু বাস্তবে তা কার্যকরী নয় না বলে রামপুরহাটে দলের বুথ সম্মেলনে কাটমানি নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় (Asish Banerjee)। পাল্টা কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) দাবি, "কাটমানি বন্ধ হবে কী করে, ওটাই তো তৃণমূলের ব্যবসা!"


কাটমানি নিয়ে মুখ খুললেন ডেপুটি স্পিকার


সামনের বছরই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে ‘কাটমানি’ খাওয়া নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়ালেন আশিস।  তিনি বলেন, "আমি বহু সভাতে বলি যে দেখুন আমি কাউকে সত্‍ হতে পরামর্শ দিতে পারব না। আমি বলতে পারব না, আপনি পুরসভার টাকাটা মারবেন না। আপনি পঞ্চায়েতের টাকাটা মারবেন না। আপনি মেম্বার, আপনি এই কাজটা করবেন না। আপনি কারোর কাছে কাটমানি খাবেন না। এটা হচ্ছে আমার উপদেশ। কিন্তু এটা কার্যকরী নয়।"


রবিবার নিজের বিধানসভা এলাকায় দলের একটি বুথ ভিত্তিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন আশিস। সেখানে কাটমানি প্রসঙ্গ ছাড়াও, তাৎপর্যপূর্ণভাবে কর্মীদের সত্‍ হওয়ারও পরামর্শ দেন এই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা। তাঁকে বলতে শোনা যায়, "আপনি বুকে হাত দিয়ে বলবেন, আমি এক কাপ চা খাব কারA কাছ থেকে খাব না, কারোর কাছে। আমি একটা অন্যায় করব না। একটা অন্যায় কথা বলব না। কাউকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যে কথা বলব না। কাউকে টার্গেট করে আমি এগিয়ে যাব না। এইটা তো বলতে পারবেন। রাজনীতিতে এই সততা থাকবে না?" 


আরও পড়ুন: Coal Scam: হাজিরা এড়িয়েছেন আগে, কয়লাকাণ্ডে সওকত মোল্লাকে ফের তলব করল CBI


তৃণমূল বিধায়কের মুখে কাটমানি-মন্তব্যে যদিও কটাক্ষ করেছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি তথআ বিজেপি-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, "তৃণমূলের সমস্ত নেতারা কাটমানি খাচ্ছে। বন্ধ করে দিলে কী করে হবে? ওটাই তো ব্যবসা। এর জেরে পার্টিটা টিকে আছে। যত সমাজবিরোধী, দ্ষকৃতী কামানোর জন্য পার্টিতে ঢুকেছে। পুরো পার্টিটাই এরকম। এই পার্টির থেকে আর কিছু আশা করা যায় না।"


বাগযুদ্ধ চরমে


সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, "রামপুরহাট কলেজে কয়েকজনকে ঢুকিয়েছে। পরে জানাব। নিজেই কাটমানি খায়।" সব মিলিয়ে কাটমানি বিতর্ক ঘিরে ফের রাজনৈতিক বাগযুদ্ধ।