এরশাদ আলম, বীরভূম: এগিয়ে আসছে পুরভোট (WB Municipal Polls 2022)। অথচ এখনও মেলেনি প্রার্থিতালিকা। কাজ এগিয়ে রাখতে তাই প্রার্থীর নাম বাদ রেখে দেওয়াললিখন শুরু হয়ে গেল। তৃণমূল (TMC) এবং বিজেপি (BJP), দুই তরফেই এমন সক্রিয়তা চোখে পড়ছে। কিছু জায়গায় আবার আগ বাড়িয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম লিখে দেওয়া হচ্ছে। তাতে দলের অন্দরেই মতভেদ দেখা দিয়েছে।


আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বীরভূমের (Birbhum News) সিউড়ি (Suri News) পুরসভায় নির্বাচন রয়েছে। তার আগে সেখানে তড়িঘড়ি দেওয়াললিখন শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রার্থিতালিকা না ঘোষণা হওয়ায়, নামের জায়গা ফাঁকা রেখেই চলছে দেওয়াললিখনের কাজ। কিন্তু ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সম্ভাব্য এক প্রার্থীর নাম চোখে পড়েছে। তাতে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে দলের অন্দরে।


এই নিয়ে শাসকদলের তরফে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে যে, সম্ভাব্য একটি প্রার্থিতালিকা পাওয়া গিয়েছে। তা দেখেই হয়ত অতি উৎসাহী কোনও কর্মী প্রার্থীর নাম লিখে দিয়েছেন। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে এ নিয়ে কোনও খবর নেই বলে জানানো হয়েছে।


একই ঘটনা চোখে পড়েছে বিজেপি-তেও। তবে তৃণমূলের থেকেও এককদম এগিয়ে, গেরুয়া শিবিরের এক নেতা লিফলেটে নিজের নাম ছাপিয়ে প্রচারে নেমে পড়েছেন গেরুয়া শিবিরের এক নেতা। সিউড়ি পুরসভারই ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটনা।


আরও পড়ুন: Jagdeep Dhankhar Update: 'পুলিশের মেরুদণ্ডে আঘাত', এসপি-কে ভর্ৎসনা নিয়ে মমতাকে আক্রমণ, আইএএস-আইপিএস সংগঠনের হস্তক্ষেপের দাবি


অন্যদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির তরফ থেকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হবে বলেই দাবি করা হচ্ছে। বিজেপির তরফ থেকে জানানো হয়েছে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হলেই শুরু হবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। নির্মূল হয়ে যাবে তৃণমূল।সেখানে নিজের নামে লিফলেট ছাপিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিলি করেন স্থানীয় বিজেপি নেতা দেবাশিস মিত্র ওরফে পলাশ। দলের তরফে প্রার্থিতালিকা ঘোষণা হয়নি যেখানে, সেখানে তাঁর এমন আচরণ নিয়ে দলের অন্দরে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।


যদিও পলাশের দাবি, “ভোটে আর বেশি দেরি নেই। হাতে সময় খুব অল্প। দলীয় নেতৃত্বের কাছে জানতে পেরেছি যে, আমাকে প্রার্থী করা হবে। তাই দেরি না করে প্রচারে নেমেছি। সিউড়ির ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে শুরু করেছি প্রচার। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটের প্রচার করে এসেছি।" 


১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা চম্পা মণ্ডল বলেন, “বিজেপি প্রার্থী দেবাশিষ মিত্র আমাদের পাড়ায় আসেন এবং আমাদের লিফলেট দেন। ভোট দেওয়ার কথা বলেন।”


এই প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “ এমনটা একদম উচিত হয়নি। ভোট নিয়ে দলের অনেক সদস্যই বেশি উৎসাহিত। তাই হয়ত এমনটা করেছেন। এই বিষয়ে আমি দলের কার্যকর্তাদের সাথে কথা বলবো।”