ভাস্কর মুখোপাধ্য়ায়, সিউড়ি: বীরভূমে (Birbhum News) ফের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন 'দিদির দূত' বিকাশ রায় চৌধুরী। সিউড়ির বিধায়কের কাছে তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ জানালেন গ্রামবাসীরা। যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, তাঁদের অভিযোগ জানাতে বাধা দেন তৃণমূলেরই কর্মীরা (TMC)। এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি (BJP)।
বিধায়কের কাছে তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ
সমস্য়ার কথা শুনতে গ্রামে পৌঁছে যাচ্ছেন 'দিদির দূত' (Didir Doot)। তাঁকে অভাব অভিযোগের কথা জানাতে এগিয়ে এসেছেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু অভিযোগ, গ্রামবাসীদের কথা সেভাবে কানেই নেননি তৃণমূল বিধায়ক। যদিও বা বাসিন্দারা বলার চেষ্টা করছেন, তখনই জোর গলায় স্লোগান দিচ্ছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা!
শুক্রবার সকালে, সিউড়ির আলুন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের জুনিদপুর গ্রামে যান তৃণমূল বিধায়ক। সেই সময়, তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে বিধায়কের দ্বারস্থ হন গ্রামবাসীরা। আবাস যোজনায় বাড়ির বিনিময়ে কাটমানি থেকে বেআইনিভাবে খেলার মাঠ বিক্রি, একাধিক অভিযোগের কথা জানাতে যান তাঁরা। অভিযোগ, গ্রামবাসীদের কোনও কথা বলতেই দেওয়া হয়নি।
তাতেই ক্ষোভ উগরে দিতে শোনা গেল গ্রামবাসীদের। সিউড়ির জুনিদপুরের বাসিন্দা তাহিদুল মোমিন বলেন, "আমরা কিছু বলার জন্য এসেছি। আক্ষেপ যদি না শোনেন, তাহলে এখানে এসে তো লাভ নেই!" জুনিদপুরেরই বাসিন্দা শেখ রাজু বলেন, "খেলার মাঠটিকে প্রধান রুবিনা ম্যাডাম কেন বেচলেন? কী অভাব পড়েছিল?" বিকাশকে জানিয়েও লাভ হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
প্রধানকে নিয়ে ক্ষোভের সুর ধরা স্থানীয়দের অনেকের মধ্যেই। তাহিদুল বলেন, "আমাদের এখানে যিনি বর্তমান প্রধান, তিনি কোনও উপকার করেননি। একটা কাজ করতে হলে, সটান না বলে দেন। কোনও কাজ করেন না এখানে। বিধায়ককে বলতে বলেন, সবার সামনে নয়, আলাদা কথা হবে।"
বিধায়ককে দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সকলে
তাতেই বিধায়ককে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সকলে। বিকাশ যদিও ক্ষোভের কথা মানতে নারাজ। তিনি বলেন, "এখানে কোনও ক্ষোভ নেই। এটা হচ্ছে তৃণমূলের পরিবার। ক্ষোভ তৈরি করা যায় না।" খেলার মাঠটি সরকারি কিনা, তা দেখতে হবে বলেও জানান। যাঁকে ঘিরে অভিযোগ, সেই রুবিনা বিবি বলেন, "আমি প্রচুর কাজ করেছি। যত লোক আছে, জিজ্ঞেস করুন। প্রচুর কাজ করেছি আমি। বিরোধীরা বলবেই।" পুরোটাই বিরোধীদের চক্রান্ত বলে দাবি করেন তিনি।