আবির ইসলাম, বীরভূম: আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়ে তৃণমূল (TMC) নেতাকে মারধর। অভিযোগ উঠল তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতির ছেলে ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। বীরভূমের (Birbhum) শান্তিনিকেতন থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। অভিযোগ অস্বীকার অভিযুক্তদের। রাজনৈতিক কারণে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে বলে দাবি। 


শাসক শিবিরে অশান্তি:
আক্রান্ত নেতার নাম বাবু দাস। তিনি রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের ফাইভ মেন কমিটির সদস্য বাবু দাস। তাঁর দাবি, শুক্রবার বিনুড়িয়া গ্রামে দলীয় কর্মসূচিতে যান তিনি। অভিযোগ, সেখানে তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি কাজি নুরুল হুদার ছেলে, রাহুল কাজি দলবল নিয়ে, আগ্নেয়াস্ত্র-সমেত তাঁর ওপর চড়াও হন। বেধড়ক মারধর করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ জানাতে আসেন এই তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, 'দলের কর্মসূচিতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় নুরুল হুদার ছেলে ও তাঁর দলবল। আমাকে মারধর করে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে। গোটা ঘটনা জানিয়ে আমি থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।'


অভিযোগ অস্বীকার:
মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি ও তাঁর ছেলে! অভিযুক্ত রাহুল কাজি বলেন, 'বাবু দাসই দলবল নিয়ে এসে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে। ও তো এই এলাকার দায়িত্বে নেই। তাহলে মিটিং কীভাবে করছে। আমাদের দল পদ দিতে চলেছে তাই ওর এত রাগ।' অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূলের রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি কাজি নুরুল হুদা। তিনি বলেন, 'সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। এর সঙ্গে আমি কোনওভাবেই যুক্ত নই।'


বিজেপির কটাক্ষ:
গোটা ঘটনায় কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বোলপুর শহরের বিজেপির সহ সভাপতি কাঞ্চন ঘোষ বলেন, 'টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এটা। এ ওকে মারছে। ও একে মারছে।' এই ঘটনায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বোলপুরের তৃণমূল বিধায়ক ও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিন্হা। পাশাপাশি বিজেপির কটাক্ষকেও গুরুত্ব দিতে চাননি তিনি। 


আরও পড়ুন: দীর্ঘদিন ধরে অমিল বকেয়া, প্রাপ্য চেয়ে রাস্তায় নামলেন চটকল শ্রমিকরা