গ্রামে সিবিআই টিম: ডিআইজি (DIG) অখিলেশ সিংহয়ের (Akhilesh Singh) নেতৃত্বে বীরভূমের (Birbhum) বগটুই গ্রামে (Bogtui Village) পৌঁছেছে সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল। দলে রয়েছেন ৩০ জন। সকাল থেকেই বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে কাজ শুরু করেছেন তাঁরা। রামপুরহাট থানায় (Rampurhat Police Station) গিয়ে মামলার সমস্ত নথি, কেস ডায়েরি সিটের থেকে সংগ্রহ করেন সিবিআই (CBI) অফিসাররা । কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আরেকটি দল যাচ্ছে বগটুই গ্রামে ।


ঘরছাড়া: ইথিয়ার বাতাসপুরে আশ্রয় নিয়েছে স্বজনহারা কয়েকটি পরিবার । সিবিআইয়ের (CBI) তদন্তকারী দল সেখানেও যেতে পারে । হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) নির্দেশে রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার পাওয়ার পর গতকালই এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই ।


রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে ধৃত: তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন-সহ ১২ জনকে রামপুরহাট থানায় রাখা হয়েছে। সূত্রের খবর, আজ থানায় গিয়ে কেস ডায়েরি ও মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি সংগ্রহ করবে সিবিআই ((CBI)। তদন্তে যে সমস্ত তথ্য উঠে এসেছে, তা সিটের তরফে সিবিআইকে জানানো হবে । পাশাপাশি, ধৃতদের বয়ানও নিতে পারে সিবিআই (CBI) । রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে (Rampurhat Violence) এখনও পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এফআইআরে নাম থাকা আরও ৭০ জন পলাতক।


গ্রামে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প: রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের পর বগটুই গ্রামে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প তৈরি হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে ইএফআর। গতকালের পর আজ ফের গ্রামে গিয়েছে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দল (Forensic Team)। নমুনা সংগ্রহ করবে তারা।


আরও পড়ুন: Chhattisgarh: শববাহী যান না পেয়ে মেয়ের মৃতদেহ কাঁধে ১০ কিমি হেঁটে গেলেন বাবা!


এ দিন গ্রামে যান বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীও। অন্যদিকে, রাজ্য প্রশাসন নিরাপত্তা দেওয়া সত্ত্বেও গ্রামে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন বাসিন্দারা। ফলে কার্যত জনশূন্য বগটুই গ্রাম। রাস্তাঘাট শুনশান। যে ক’জন গ্রামবাসী রয়েছেন, আতঙ্কে তাঁরা ঘরের বাইরে পা রাখছেন না।