কলকাতা: বগটুইকাণ্ডের (Birbhum Violence) তদন্ত নিয়ে নবান্নে (Nabanna) ঢুকেই ডিজিপি-কে (DGP) ফোন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। খোঁজ নিলেন জ্ঞানবন্ত সিংহের কাছে। ডেকে পাঠালেন মুখ্য ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)।


এর আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বীরভূমের ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। ঘটনা ঘটার পর অ্যাকশন নেওয়া হচ্ছে, না হচ্ছে না? এর চেয়ে ঢের বেশি ঘটনা উত্তরপ্রদেশে ঘটছে। অন্যের ঘরে দেশলাই জ্বালালে, নিজের ঘরেও তা উড়ে এসে পড়তে পারে। গ্যাস-পেট্রোলের দাম বাড়িয়েছে। যাতে কেউ কিছু না বলতে পারে, তাই এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। রাজ্যপালের বাড়ি থেকে বলা হচ্ছে, এখানে-ওখানে গিয়ে রেড কর। গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেন, এমন অনেকেই আমাকে এমন অভিযোগ জানাচ্ছেন। বাংলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।’


বিরোধীদের কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু দল ল্যাংচা খেতে খেতে বীরভূমে ঢুকছে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে। আজ বীরভূমে যাব ভেবেছিলাম, তাই যাইনি। কাল আমি রামপুরহাট যাব। আমরা সবাইকে সব জায়গায় যেতে দিই। হাঁচলে-কাশলেও এখানে দেখছি আদালতে চলে যাচ্ছে।’


নৃশংস হত্যালীলার পর বগটুই গ্রামে যাওয়ার সময় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের মধ্যেই ব্রেকফাস্ট সারেন বিজেপি বিধায়করা। এরপর শক্তিগড়ে নেমে কেউ খান ল্যাংচা, কেউ আবার ডাবের জল। কেউ আবার শুধু চায়েই গলা ভেজান। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ট্যুইট করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।


বগটুই গ্রামে নৃশংস হত্যালীলা ও তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরও কয়েকজনের খোঁজ চলছে। ধৃতদের মধ্যে নিহত তৃণমূল উপপ্রধানের এক ভাইও রয়েছে বলে সূত্রের খবর। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক দল।


প্রশ্ন উঠছে, বগটুই গ্রামে বেছে বেছে কয়েকটি বাড়িতেই কি আগুন লাগানো হয়েছিল? প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি তেমন সম্ভাবনাই উস্কে দিচ্ছে। ভয়ঙ্কর হত্যালীলার পর এখনও থমথমে গোটা গ্রাম। খাঁ-খাঁ করছে বাড়িঘর। আতঙ্কে গ্রাম ছেড়েছে নিহত তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখের পরিবারও। শিশু, মহিলা-সহ ৮ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার পর একদিন পেরিয়ে গেলেও খড়ের গাদা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়।