গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: কয়েকদিন আগেই অনুব্রত মণ্ডল ঘোষণা করেছিলেন এবার বিশ্বভারতীর অন্দরে তৃণমূলের ব্যানার নিয়ে হবে অনুষ্ঠান। রাখি পূর্ণিমার দিনই বিশ্বভারতীতে উপাসনা গৃহের সামনে তৃণমূলের ব্যানার নিয়ে অনুষ্ঠান তৃণমূল কংগ্রেসের। দিন কয়েক আগেই অনুব্রত মণ্ডল হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শান্তিনিকেতনে ‘খেলা শুরু’ করবে তৃণমূল। আর সেই মতই এবার উপাসনা গৃহের সামনে অনুষ্ঠান করতে দেখা গেল তৃণমূলের নেতাকর্মীদের।


উল্লেখ্য, দুদিন আগেই বিশ্বভারতীতে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর সুভাষ সরকারের মন্তব্য  নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। এমনকি সুভাষ সরকারের সঙ্গে বিশ্বভারতীতে প্রবেশ করতে দেখা যায় বিজেপি নেতা কর্মীদের। এরপরই হুঙ্কার দেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রকাশ্যে ক্যামেরার সামনে বলেন এবার বিশ্বভারতীর অন্দরে প্রোগ্রাম করবে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই মতই আজকে দেখা গেল সেই চিত্র। 


বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহের সামনে হাতে ব্যানার নিয়ে অনুষ্ঠান করল তৃণমূল কংগ্রেস। ব্যানারে ছিল অনুব্রত মণ্ডল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। রবিবার সকালে বোলপুর পুরসভার নবগঠিত ২ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল, বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহর ছবি দেওয়া পোস্টার নিয়ে মিছিল শুরু হয়। বিশ্বভারতীর একাধিক প্রাক্তন পড়ুয়া ছাড়াও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীরাও মিছিলে যোগ দিতে দেখা যায়। 


আজ রাখি উৎসব উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই শোভাযাত্রায় যায় বিশ্বভারতীর উপাসনাগৃহ পর্যন্ত। সেখানেই দাঁড়িয়ে বেশ কিছুক্ষণ গান বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান হয়। এমনকি বিশ্বভারতীর অন্দরমহল বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসের মধ্যেই তৃণমূলের পতাকা লাগাতে দেখা যায় কর্মীদের।


পুলিশের হাতে রাখি বেঁধে ত্রিপুরায় রাখিবন্ধন উৎসব পালন করল তৃণমূল কংগ্রেস। আগরতলা থানায় গিয়ে পুলিশকর্মীদের হাতে রাখি পরিয়ে দিলেন যুব তৃণমূল কর্মীরা। আইজেএম হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরও রাখি পরানো হয়। হাসপাতালের সামনে পথ চলতি মানুষ, ফল-সবজি বিক্রেতাদের হাতেও রাখি পরিয়ে দেন তৃণমূল কর্মীরা।