সিউড়ি: রাজ্যে তিনটি নতুন মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণের ঘোষণা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বীরভূমের সিউড়ি থেকে রবিবার এমন ঘোষণা করলেন তিনি। পাশাপাশি গ্রামীণ রাস্তা, সেতুর নির্মাণ, উন্নয়নের কথাও ঘোষণা করেন। মমতা জানান, বাংলার সংস্কৃতির জন্মস্থান বীরভূম। এই বীরভূমের উন্নয়নে কোনও খামতি রাখছে না তাঁর সরকার। (Mamata in Birbhum)


এদিন সিউড়ির সভা থেকে মমতা জানান, তমলুকে তাম্রলিপ্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ, আরামবাগে প্রফুল্লচন্দ্র সেন সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, এবং বারাসাতেও সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল তৈরি করবে রাজ্য সরকার। মুর্শিদাবাদ, দুই বর্ধমান এবং রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে সেখানে পড়ুয়ারা ভর্তি হতে পারবেন বলে জানান মমতা।


পাশাপাশি, এদিন রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন মমতা। তিনি জানান, ১৪ নং জাতীয় সড়ক বরাবর বীরভূমের যে অংশ, সেখানে খয়রাশোল ব্লকের ভীমগড় পয়েন্ট থেকে নলহাটি ২ নং ব্লকের নাগপুর চেকপোস্ট পর্যন্ত দুই লেনের রাস্তাটি বাড়িয়ে চার লেনের করা হবে। সাধারণ মানুষ যে আবেদন জানিয়েছিলেন, সেই অনুযায়ীই রাজ্য সরকার কাজে হাত দিয়েছেন বলে জানান মমতা। 


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ‘চোরের ঠাকুরদা ওরা, সময় নিচ্ছি, সুতো ছাড়ছি’, প্রকাশ্য সভায় কাকে নিশানা মমতার?


এছাড়াও, পানাগড়, ইলামবাজার, দুবরাজপুরে রাস্তার উন্নয়নের জন্য ১০৭ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করার কথা জানান মমতা। কাষ্ঠগড়িয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্র ঠাকুরপুকুর রাস্তার উন্নয়ন এবং সেতুর নির্মাণে ৩২ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা জানান। পথশ্রী-২ প্রকল্পের আওতায় সিউড়ি-১, ইলামবাজার, শ্রীনিকেতন, লাভপুর, সাঁইথিয়া, দুবরাজপুর নানুর, মহম্মদবাজার মিলিয়ে ৮৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ৬২টি গ্রামীণ রাস্তা করতে  ২৩ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা রাজ্য খরচ করবে বলে জানান। অজয় নদের উপর তৈরি হবে একটি সেতুও।


রবিতে বোলপুরে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়েরও শুভ উদ্বোধন করেন মমতা। জানান, এটি তাঁর 'স্বপ্নের প্রকল্প'। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন। মমতা জানান, ৩১ একর জমির উপর তৈরি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। খরচ হয়েছে ৩৬৭ কোটি টাকা। সেখানে মেয়েদের জন্য় রয়েছে দু'টি হস্টেলও। 


এদিনের অনুষ্ঠানে দেউচা পাঁচামিতে খনির জন্য জমি প্রদানকারীদের হাতে ক্ষতিপূরণের টাকাও তুলে দেন মমতা। তিনি জানান, ৫৬৩ জনকে ক্ষতিপূরণের চেক দেওয়া হয়েছে। জুনিয়র হিসেবে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে ৩৪২ জনকে। গ্রুপ ডি পদে ২৩০ জনের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র ধরানো হয়েছে। ডিসেম্বরের বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে যাঁদের, তাঁরাও ক্ষতিপূরণ পাবেন বলে জানান।