বীরভূম: এবার তুষের বস্তার আড়ালে কয়লা পাচারের অভিযোগ। বীরভূমের সদাইপুর থেকে গ্রেফতার দুই পাচারকারী। বাজেয়াপ্ত ৪ টন কয়লা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার রাতে সদাইপুর থানা এলাকার পানুড়িয়ায় হানা দেয় পুলিশ। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি ম্যাটাডোর আটক করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, তুষের বস্তার আড়ালে কয়লা পাচার করা হচ্ছিল। চালক ও খালাসিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, দুবরাজপুর থেকে সিউড়িতে পাচার করা হচ্ছিল কয়লা। বিজেপির কটাক্ষ, তৃণমূলের বাধাতেই কয়লা পাচার রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারছে না পুলিশ। প্রচারের আলোয় আসতে সমালোচনা, পাল্টা আক্রমণ তৃণমূলের। এর আগে কখনও জলের বোতল, কখনও ফলের পেটির নীচে বীরভূমে কয়লা পাচারের ঘটনা ঘটে।


হাজিরা এড়ালেন মন্ত্রী: উল্লেখ্য দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতরে আজ হাজিরা এড়ালেন মন্ত্রী মলয় ঘটক ও তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো। কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে আজ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা, আইন ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব করে ইডি। একইসঙ্গে এই মামলায় পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোকেও তলব করা হয়েছিল।  দু’জনকেই আজ সকাল ১১টায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, দুজনেই দিল্লির ইডি দফতরে যাননি। ইডি সূত্রে খবর, ইমেল করে সুশান্ত জানিয়েছেন, তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। তাই তিনি যেতে পারবেন না। ইডি’র অফিসাররা চাইলে তাঁকে রাজ্যে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন।  


সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার কোল কর্তারা: কয়লাকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার ইসিএলের ৪ বর্তমান-প্রাক্তন জিএম, একজন ম্যানেজার, ২ কর্মী-সহ ৭ জনকে নিয়ে আজ সকালে নিয়ে যাওয়া হয় আসানসোলে। মেডিক্যাল পরীক্ষার পর, সকাল ৮টা ১০ মিনিটে ৭ জনকে তোলা হয় গাড়িতে। আজই পেশ করা হবে আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। সিবিআই সূত্রে দাবি, কয়লা মাফিয়ার সঙ্গে আঁতাঁতের অভিযোগেই ইসিএলের কর্তা-কর্মী-সহ এই ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে, কয়লা পাচারকাণ্ডে ফেরার অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রকে যখন পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধী ঘোষণা করতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।