ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগেও ফের অতীতের ছায়া। সদ্য গতবছর রাজ্যে হয়ে গিয়েছে পঞ্চায়েত ভোট। গোটা বাংলায় একাধিক হামলা, খুন, আগুন জ্বলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আর এবার বন্দুকের বাঁট ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিজেপি নেতাকে (BJP Leader) মারধরের অভিযোগ উঠেছে শান্তিনিকেতনে (Santiniketan)।
ঠিক কী হয়েছিল ?
শুক্রবার, দুপুরে ঘটনাটি ঘটে শান্তিনিকেতনে প্রান্তিকের এক বেসরকারি হাসপাতালের সামনে। অভিযোগ, বিজেপি করার অপরাধে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকির পর হঠাৎই বোলপুরে বিজেপির এসসি মোর্চার কার্যকর্তা অরুণ দাসের উপর আক্রমণ করে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল।
ধারালো অস্ত্র দিয়ে নেতাকে 'মার' শান্তিনিকেতনে
আক্রান্ত অরুণ দাস বলেন, '২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই ঘর ছাড়া হতে হয়েছিল বিজেপি করার অপরাধে। লোকসভা নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করায় হঠাৎই ধারালো অস্ত্র, বন্দুকের বাঁট দিয়ে আক্রমণ করে তৃণমূল। এলাকায় তৃণমূল কর্মী ও বোলপুর পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধির স্বামী বাবু দাস-সহ ২০ জন নেতৃত্বেই চলে মারধর। প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়।'
'যদি ব্যবস্থা গ্রহণ না হয়, কমিশনের দ্বারস্থ হব'
অন্যদিকে বোলপুরের বিজেপির এসসি মোর্চার সভাপতি শিশিরচন্দ্র দাস বলেন,'আমাদের কর্মীর উপর আক্রমণের প্রতিবাদে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে শাসকদলের কর্মীরা। যদি ব্যবস্থা গ্রহণ না হয় কেন্দ্রীয় এসসি কমিশনে দ্বারস্থ হব।'
আরও পড়ুন, CAA কার্যকরে বদলাল শান্তনু ঠাকুরের 'ডেডলাইন'
হাওড়ার বাগনানে বাড়িতে ঢুকে বিজেপি নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। ফেটেছিল মাথা। রক্তে ভিজে গিয়েছিলেন হাওড়া গ্রামীণের বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি অনুপম মল্লিক। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল উলুবেড়িয়া হাসপাতালে (Uluberia Hospital)। তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির (BJP)বিরুদ্ধে। গতবছর ওইদিন উলুবেড়িয়ায় শুভেন্দু অধিকারীর জনসভা ছিল। মূলত সেই সভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন অনুপম মল্লিক। অনুপম মল্লিকের স্পষ্ট অভিযোগ ছিল, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে মারধর করে, মাথা ফাটিয়ে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে কল্যাণপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এই ঘটনায় তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন অনুপম। যদিও সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিল তৃণমূল।