কলকাতা: সদ্য গত মাসের শেষে ২৯ জানুয়ারি CAA কার্যকর হওয়া নিয়ে বড়সড় বার্তা দেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Santanu Thakur)। তিনি বলেন, 'এক সপ্তাহের মধ্যে সিএএ (CAA) কার্যকর হবে। পশ্চিমবঙ্গ-সহ গোটা দেশে সিএএ কার্যকর হবে।' স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই দাবির পর জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে। দেখতে গেলে হিসেব মতো হাতে ছিল আর ২ দিন। তবে তার আগেই সিএএ কার্যকরে বদলাল শান্তনু ঠাকুরের 'ডেডলাইন' !
'আগে বলেছিলাম, ৭ দিনের মধ্যে কার্যকর হবে, এখন বলছি..'
শান্তনু ঠাকুর এদিন বলেন,'দেশ সিএএ চায়, কার্যকর হবেই, কেউ আটকাতে পারবে না। আগে বলেছিলাম, ৭ দিনের মধ্যে কার্যকর হবে। এখন বলছি, ৭ দিনের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে, কিছুদিনের মধ্যেই কার্যকর হবে।' উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে পাশ হয়েছিল সিএএ বিল। যদিও এই সিএএ নিয়ে কম বিতর্কের ঝড় ওঠেনি। এমন কি মতুয়াদের জন্য CAA প্রসঙ্গ তুলেও একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেছেন শাসকদলের শীর্ষ নের্তৃত্ব।মূলত উনিশের লোকসভা নির্বাচন থেকে একুশের বিধানসভা নির্বাচন, বার বার বিজেপি এবং দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মুখে বাংলায় সিএএ চালুর প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। মতুয়াদের মন জিততে প্রধানমন্ত্রী মোদি ছুটে গিয়েছিলেন মতুয়াদের শ্রদ্ধেয় বড়মার কাছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের ওড়াকান্দিতে গুরুচাঁদের মূর্তির সামনেও শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন মোদি।
ভোট ব্যাঙ্ক নিয়ে ফের ময়দানে বিজেপি-তৃণমূল
উল্লেখ্য, বাংলায় প্রায় ২ কোটি ৮৭ লক্ষ মানুষ নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের। যার সিংহভাগই মতুয়া। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে রাজ্যের ১০২টি বিধানসভা কেন্দ্রে মতুয়াদের প্রভাব আছে। এর মধ্যে ৩১টি সংরক্ষিত আসনে কার্যত নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা নেয় মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক। আর তাই মতুয়া ভোট ব্যাঙ্ক নিয়ে ফের ময়দানে বিজেপি-তৃণমূল।এখন কথা হচ্ছে ভোটের আগে পাখির চোখ কোন দিকে, তা আর নতুন করে বোঝানোর অবকাশ রাখা হয়নি।
আরও পড়ুন, 'কলকাঠি নেড়েছেন পার্থই..', ফের জামিনের আর্জি খারিজ
'ভোটের জন্য সিএএ-র বিরোধিতা করছেন মমতা'
সম্প্রতি এ শহরে এসে এই আভাষই দিয়ে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। লোকসভা ভোটের আগে অমিত শাহ স্পষ্ট বলেছিলেন, 'এত অনুপ্রবেশ হলে কোনও রাজ্য হলে সেখানে উন্নয়ন হতে পারে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ভোটের জন্য সিএএ-র বিরোধিতা করছেন। আমি বলছি, সিএএ আইন হয়ে গেছে, প্রণয়নও হয়ে যাবে। '